তবে দলের একটি সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার আগ মুহূর্তে এমপি আনার তার ম্যানেজারের কাছে ৪ লাখ ২০ হাজার রুপি চান। এ সময় তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে ভারতীয় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারে ছিলেন। এই টাকা নেয়ার পর থেকেই এমপি আনারের আর কোনো সন্ধান মিলছে না বলে সূত্রটি দাবি করছে। ব্যবসায়িক কোনো দ্বন্দ্ব ও পশ্চিমবঙ্গে ভোট চলার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তিনি আটক হলেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার মন্তব্য করছেন পুরানো কোনো ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে ভারতে থাকা প্রতিপক্ষরা তাকে অপহরণ করতেও পারে। বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জের পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, এমপি ভারত যাওয়ার পরদিন তার সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর তিনি কোথায় আছেন, কেন ফোন বন্ধ, কী ঘটেছে আমরা আর কোনো কিছু জানতে পারিনি। তবে পরিবারের লোকজন খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য ভারতে গেছেন বলে তিনি জানান। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, এমপি’র পরিবার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাটি সত্যি খুবই দুঃখজনক। আমরা সাংগঠনিকভাবে দলীয় হাইকমান্ডকে জানিয়েছি। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল-আহসান বলেন, কালীগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা মৌখিকভাবে এমপি আনার সাহেবের নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। যেহেতু ঘটনা ভিন্ন রাষ্ট্রের তাই ঘটনাটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।