পাহাড় নিয়ে অশান্ত খেলায় মেতেছে সরকার: মঈন খান

পাহাড় নিয়ে অশান্ত খেলায় মেতেছে সরকার: মঈন খান 

বান্দরবানে পাহাড় নিয়ে সরকার আবার কোনো অশান্ত খেলায় মেতেছে কি না, আবার নতুন নাটক করছে কি না এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, সরকার একসময়ে জুজুর ভয় দেখানোর জন্য দেশে আইএস নাটক করেছিল। দেশ চালায় সরকার, রাষ্ট্রীয় সমস্ত ক্ষমতা তাদের হাতে। আর কুকি চিনকে বিএনপি দূরবীন না মাইক্রোস্কোপ দিয়ে আবিষ্কার করল? আজকে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় সদ্য কারামুক্ত বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করছে’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকারে আছে আওয়ামী লীগ, তাহলে বিএনপি কীভাবে গণতন্ত্রকে বাধা দেয়? এটা কী সম্ভব! এর জবাব আওয়ামী লীগ ভালো দিতে পারবে। বাংলাদেশে আজকে গণতন্ত্র নেই, ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্র হরণ করেছে এটা শুধু বিএনপিসহ ৬৩টি সমমনা রাজনৈতিক দলের কথা নয়, আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গণতন্ত্র বিশ্বও একই কথা বলছে।

তিনি বলেন, আমরা রাজপথে আছি, একদফার আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে রয়েছি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আমাদের দাবি। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে বিনাভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনে ভোট রাতে করে ২৯৪ আসন দখল করে নেয় এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানুষ নীরবে ভোট বর্জন করেছে। কারণ এ নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না, স্বাধীনভাবে জনপ্রতিনিধি বাছাই করার সুযোগ ছিল না।

ড. মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশ কেন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র না থাকলে তো মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন মিথ্যা হয়ে যাবে। আজকে মুক্তিযুদ্ধের যারা জীবন দিয়েছেন তারা যদি প্রশ্ন করেন, গণতন্ত্র কোথায় তাদের আমরা কী জবাব দেব। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শক্তি বলে দাবি করে আজকে সেই সরকার কী জবাব দেবে?

আজকে আমরা কোন দেশে বাস করছি। দুদিন পর ঈদ। এক মাসের সংযম ও ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে ঈদ উদযাপন করা হয়। আজকে আমরা কী উদযাপন করছি, কোন পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি।

সমকাল