আবাহনীর খেলোয়াড় তালিকায় লিটন কুমার দাসের নাম না দেখে একাদশে জায়গা না পাওয়ার গুঞ্জন রটে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় লিটনের বাদ পড়া। আবাহনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, লিটন ছুটিতে আছেন। কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, সুপার লিগ থেকে খেলতে চান জাতীয় দলের এ ওপেনার। লিটনের মতো জাকির হাসানও সাময়িক ছুটিতে। এ দুই ক্রিকেটার ছুটি নিলেও গতকাল লিগ ম্যাচ খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাদা বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো সময় যাচ্ছে না লিটনের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজে ৪৩ (০, ৩৬, ৭) করেন তিনি। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজে টানা দুই ম্যাচে ডাক মারায় বাদ পড়েন তৃতীয় ম্যাচের দল থেকে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর পরামর্শে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একটি ম্যাচও খেলেন টেস্টের আগে। শাইনপুকুরের বিপক্ষে সে ম্যাচে পাঁচ রান করেছিলেন তিনি।
আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা লিটন টেস্টেও ভালো করতে পারেননি। প্রথম টেস্টে ২৫, দ্বিতীয় টেস্টে ৪২ রান করেন। ব্যাডপ্যাচে থাকা লিটন মানসিকভাবে ভালো নেই বলে জানা গেছে। মন ভালো করতে লিগ থেকে ছুটি নেওয়া তাঁর। এ ব্যাপারে জানতে লিটনকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
তবে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “লিটন বলেছিল– স্যার, মানসিকভাবে একটু ‘ডাউন’ আছি। একটু বিশ্রাম নিয়ে সুপার লিগ থেকে খেলতে চাই। তাই লিটনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ছুটি কাটিয়ে ঝরঝরে হয়ে ফিরবে লিটন। শারীরিক সমস্যার কারণে জাকিরও ছুটি নিয়েছে। গরমের কারণে সাইফউদ্দিন আজকের (গতকাল) ম্যাচ থেকে বিশ্রাম চেয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আমার হাতে যেহেতে পর্যন্ত খেলোয়াড় আছে, সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাচ্ছি।”
টি২০, ওয়ানডেতে রান পেলেও টেস্টে মোটেও ভালো যায়নি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। প্রথম টেস্টে ১১, দ্বিতীয় টেস্টে ২১ রান বাঁহাতি এ ব্যাটারের। গতকাল মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেললেও ব্যাটিং করেননি তিনি। টেস্টের পর ঢাকা লিগে খেলছেন না সাকিব আল হাসান। ওমরাহ পালন করতে বৃহস্পতিবার সৌদি আবর গেছেন তিনি। ৮ এপ্রিল দেশে ফিরতে পারেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার।
স্বাভাবিকভাবেই ঈদের আগে আর লিগে খেলা হচ্ছে না সাকিবের। আজ লিগের নবম রাউন্ডের খেলা শেষ হবে। ১৫ এপ্রিল শুরু দশম রাউন্ডের খেলা। ১৯ এপ্রিল শেষ লিগ। সুপার লিগ শুরু ২১ বা ২২ এপ্রিল। লম্বা বিরতিতে মানসিক ক্লেদ ঝেড়ে লিটন লিগে ফিরবেন আশা করতেই পারেন জাতীয় দল নির্বাচকরাও। কারণ টি২০ বিশ্বকাপের আগে লিটনের মতো একজন অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ছন্দে পেলে দলের লাভ।
samakal