ভোটের বিভাজন কীভাবে মেটাবে আওয়ামী লীগ

ভোটের বিভাজন কীভাবে মেটাবে আওয়ামী লীগসংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগে বিভেদ রেখা গভীর হয়েছে। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, নির্বাচনের ডামাডোল থামলেও তা জোড়া লাগেনি। এরই মধ্যে কয়েকটি সংসদীয় এলাকায় দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন-পরবর্তী সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। ভোটে জয়ী দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা হলেও নির্বাচনী ফয়সালার পর জিৎ-বিজিতের মধ্যে মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা ঘোলাটে হয়ে আছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা হুমকিতে পড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে দলের মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি এমন সংকটে পড়েছে বলে তথ্য মিলেছে। এ নিয়ে দলের ভেতরে কিছুটা দুশ্চিন্তা কাজ করছে। এ বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের কেউই খোলামেলা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ছাড় পেলেও তাদের জন্য বড় সতর্কবার্তা অপেক্ষা করছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মনে করছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোনো সংকট তৈরি হবে না।

এবারের নির্বাচনে ১৮১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনেকেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, অর্থাৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কেউ কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছেন। কাউকে হারতে হয়েছে দলীয় প্রার্থীর কাছে। এ অবস্থায় জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীরা দুই মেরুতে অবস্থান করছেন। নির্বাচন শেষ হলেও তারা একে অপরের চক্ষুশূল হয়ে আছেন। এ পটভূমিতে তারা কীভাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন, এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা কিছুটা চিন্তিত।

বিএনপির নির্বাচন বর্জন করায় ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করে আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনেকেই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। দলের জেলা-উপজেলা শাখার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের অনেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এমনকি মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপির অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন। এ নিয়ে দলের ভেতরে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও দলের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। অবশ্য নির্বাচন চলাকালেই কয়েকটি জেলা-উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাদের সমর্থক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট পঞ্চগড়-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পর তাঁকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেন জেলা শাখার সভাপতি ও রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপি। তবে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, জেলা কমিটি কাউকে অব্যাহতি দিতে পারে না; তারা শুধু সুপারিশ করতে পারে। ফলে আনোয়ার সাদাত সম্রাটই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এলাকার নেতাকর্মী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি পালন ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার আলাদা প্রচার করছেন। গতকাল টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ী বাজারে দলের স্থানীয় কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়েমুছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুন-অর-রশিদের ব্যানার সরিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেনের ছবিসংবলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, মামলা ও হুমকির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দলের অনেক নেতাকর্মী বাড়িছাড়া হয়ে পালিয়ে রয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পঞ্চগড়-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমকালকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। তাই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাতে একটু সমস্যা তো হবেই। গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করেছেন। এখন নির্বাচন শেষ। সুতরাং নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত সবাই আওয়ামী লীগের। ইকবাল হোসেন সবুজ গাজীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হেরে যান।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রের পদ ছেড়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর তালিকায় ছিলেন দলের জেলা ও উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিতে থাকা নেতারা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন– পিরোজপুর জেলার সভাপতি এ কে এম এ আবদুল আউয়াল, দিনাজপুরের পীরগঞ্জের সভাপতি জাকারিয়া জাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, নওগাঁর মহাদেবপুরের সভাপতি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁর পৌর সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষার, রাজশাহীর বাগমারার আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী এনামুল হক, নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, যশোরের চৌগাছার সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলার সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, বাঘারপাড়ার সভাপতি রণজিৎ রায়, খুলনার ফুলতলার সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, সাতক্ষীরার তালার সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, বরিশালের বাকেরগঞ্জের সভাপতি শামসুল হক চুন্নু, শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সভাপতি এস এম আবদুল্লাহ হেল ওয়ারেজ নাইম, ঢাকার ধামরাইয়ের সভাপতি আবদুল মালেক, মাদারীপুরের কালকিনির সভাপতি তাহমিনা বেগম, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, কুমিল্লার হোমনার সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মজিদ, চান্দিনার সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটু, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সভাপতি আবদুল মোতালেব, কক্সবাজারের টেকনাফের সভাপতি নুরুল বশর, গাইবান্ধার ফুলছড়ির সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা, ঢাকার ডেমরা থানার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, দারুসসালাম থানার সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক হ্যাপী, রূপনগর থানার সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রবিন, আশুলিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দিন।

এসব নেতার মধ্যে কেউ কেউ একই সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন। এ নিয়ে নির্বাচনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়া দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেদের আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পড়েছেন বড় বিপাকে। তারা অস্তিত্ব নিয়েই সংকটে পড়েছেন। তাদের সঙ্গে দল মনোনীত প্রার্থীর দূরত্ব আরও বাড়ছে। ফলে নেতাকর্মীরা স্পষ্টভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৯ আসনে দলের একক প্রার্থী ছিল। আসনগুলো হচ্ছে– পঞ্চগড়-২, ঠাকুরগাঁও-১, দিনাজপুর-২, রংপুর-১, রংপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৩, বগুড়া-৫, বগুড়া-৭, রাজশাহী-৩, সিরাজগঞ্জ-১, সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৪, পাবনা-১, পাবনা-৫, মাগুরা-১, মাগুরা-২, নড়াইল-১, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, সাতক্ষীরা-৩, সাতক্ষীরা-৪, বরগুনা-২, পটুয়াখালী-২, ভোলা-১, ভোলা-২, ভোলা-৪, বরিশাল-১, ঝালকাঠি-১ এবং ঝালকাঠি-২। এসব আসনে দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি।

তবে ১৮১ আসনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আসনগুলো হলো– পঞ্চগড়-১, ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-১, দিনাজপুর-৩, দিনাজপুর-৪, দিনাজপুর-৫, দিনাজপুর-৬, নীলফামারী-১, নীলফামারী-২, লালমনিরহাট-১, লালমনিরহাট-২, লালমনিরহাট-৩, রংপুর-২, রংপুর-৫, রংপুর-৬, কুড়িগ্রাম-৪, গাইবান্ধা-৩, গাইবান্ধা-৪, গাইবান্ধা-৫, জয়পুরহাট-১, জয়পুরহাট-২, বগুড়া-১, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-৫, নওগাঁ-৬, রাজশাহী-১, রাজশাহী-৪, রাজশাহী-৫, রাজশাহী-৬, নাটোর-১, নাটোর-২, নাটোর-৩, নাটোর-৪, সিরাজগঞ্জ-৩, সিরাজগঞ্জ-৫, সিরাজগঞ্জ-৬, পাবনা-২, পাবনা-৩, পাবনা-৪, মেহেরপুর-১, মেহেরপুর-২, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-৩, কুষ্টিয়া-৪, চুয়াডাঙ্গা-১, চুয়াডাঙ্গা-২, ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৩, ঝিনাইদহ-৪, যশোর-১, যশোর-২, যশোর-৩, যশোর-৪, যশোর-৫, যশোর-৬, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩, বাগেরহাট-৪, খুলনা-১, খুলনা-২, খুলনা-৩, খুলনা-৪, খুলনা-৫, খুলনা-৬, সাতক্ষীরা-১, সাতক্ষীরা-২, বরগুনা-১, পটুয়াখালী-৩, পটুয়াখালী-৪, ভোলা-৩, বরিশাল-৫, বরিশাল-৬, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-২, টাঙ্গাইল-৩, টাঙ্গাইল-৫, টাঙ্গাইল-৬, টাঙ্গাইল-৭, জামালপুর-২, জামালপুর-৪, জামালপুর-৫, শেরপুর-১, শেরপুর-৩, ময়মনসিংহ-১, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-৪, ময়মনসিংহ-৬, ময়মনসিংহ-৭, ময়মনসিংহ-৮, ময়মনসিংহ-৯, ময়মনসিংহ-১০, ময়মনসিংহ-১১, নেত্রকোনা-১, নেত্রকোনা-২, নেত্রকোনা-৩, কিশোরগঞ্জ-১, কিশোরগঞ্জ-২, কিশোরগঞ্জ-৫, মানিকগঞ্জ-১, মানিকগঞ্জ-২, মুন্সীগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-২, মুন্সীগঞ্জ-৩, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৭, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৬, ঢাকা-১৮, ঢাকা-১৯, ঢাকা-২০, গাজীপুর-১, গাজীপুর-২, গাজীপুর-৩, গাজীপুর-৪, গাজীপুর-৫, নরসিংদী-১, নরসিংদী-৩, নরসিংদী-৪, নরসিংদী-৫, নারায়ণগঞ্জ-১, রাজবাড়ী-১, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, ফরিদপুর-২, ফরিদপুর-৩, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জ-১, গোপালগঞ্জ-২, মাদারীপুর-৩, শরীয়তপুর-২, সুনামগঞ্জ-১, সুনামগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৫, সিলেট-৩, সিলেট-৫, সিলেট-৬, মৌলভীবাজার-২, হবিগঞ্জ-১, হবিগঞ্জ-২, হবিগঞ্জ-৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, কুমিল্লা-১, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৩, কুমিল্লা-৪, কুমিল্লা-৫, কুমিল্লা-৬, কুমিল্লা-৭, কুমিল্লা-১১, চাঁদপুর-২, চাঁদপুর-৩, চাঁদপুর-৪, চাঁদপুর-৫, ফেনী-২, নোয়াখালী-২, নোয়াখালী-৩, নোয়াখালী-৪, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-২, লক্ষ্মীপুর-৩, লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-১, চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১২, চট্টগ্রাম-১৪, চট্টগ্রাম-১৫, চট্টগ্রাম-১৬, কক্সবাজার-৩ এবং কক্সবাজার-৪।

সমকাল