আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ছাড় পাওয়া ২৬ আসনেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের নেতারা এসব আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই প্রার্থীরা জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিপরীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এখনো জোরালো প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে না। কোনো কোনো আসনে জাপা প্রার্থীরা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে আছেন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে রংপুর-৩ (রংপুর সদর)। এই আসন থেকে লাঙ্গল নিয়ে লড়ছেন পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তবে এই আসনে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারুল ইসলাম রানী (ঈগল)। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাওয়ায় এক প্রকার ক্ষোভ আছে নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে। অনেকেই লাঙ্গল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আবার রানী ভালো বক্তা ও সম্প্রতি হামলার শিকার হওয়ায় এখন আলোচনায়।
এই আসনে লাঙ্গলের ভোটব্যাংক ভালো হলেও চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন রানী। এ ছাড়াও মাঠে রয়েছেন জাসদের (মশাল) সহিদুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি (আম) আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) একরামুল হক।
কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। এই আসনে তার অবস্থান একেবারেই নড়বড়ে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন মাঠে। নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজুল হক (ঈগল) সহ অন্যরা ভোটের মাঠে শক্ত লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন। চুন্নু ইতিমধ্যে নিজের পোস্টারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লিখে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। ভোটের মাঠে আরও আছেন, স্বতন্ত্র (কাঁচি) নাসিমুল হক, স্বতন্ত্র (কেটলি) গোলাম কবির ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র (ট্রাক) রুবেল মিয়া, ন্যাশনাল পিপলস্? পার্টি-এনপিপি’র (আম) মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের (মিনার) ওমর ফারুক। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা শেষ মুহূর্তে একজোট হয়ে একজনকে সমর্থন দেয়ার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
ঢাকা-১৮ আসনে নির্বাচন করছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান ও জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরিয়ে নেয়া হলেও তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভোটের মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী (কেটলি)। এ ছাড়াও রয়েছেন স্বতন্ত্র (ঈগল) বশির উদ্দিন, কল্যাণ পার্টির (হাত ঘড়ি) দয়াল কুমার বড়ুয়া, ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র (টেলিভিশন) এস এম আবুল কালাম আজাদ ও ন্যাশনাল পিপলস্? পার্টি-এনপিপি’র (আম) জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
আসন সমঝোতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসন পেয়েছেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। তবে তিনি দ্বিমুখী চাপে রয়েছেন। তিনি জিএম কাদেরপন্থি এবং তার শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাও (ঈগল) রয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। আবার আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি)। এখানে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্রপ্রার্থী থাকায় কঠিন চাপে রয়েছেন রেজাউল।
জাতীয় পার্টির ভোটব্যাংক রংপুরে শক্ত। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও রংপুর সিটির একাংশ) আসন থেকে লাঙ্গল নিয়ে লড়ছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। এখানে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন পার্টির সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান রাঙ্গা (ট্রাক)। আবার ভোটের লড়াইয়ে আছেন গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান (কেটলি)। এ ছাড়াও রয়েছেন স্বতন্ত্র (ঈগল) শাহিনুর আলম, স্বতন্ত্র (মোড়া) মোশারফ হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির (হাতুড়ি) বখতিয়ার হোসেন, তৃণমূল বিএনপি’র (সোনালী আঁশ) বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির-এনপিপি (আম) হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) শ্যামলী রায়।
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রানা মোহাম্মদ সোহেলের বিপরীতে রয়েছেন পাঁচজন শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী। জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের (কেটলি)সহ আছেন আওয়ামী লীগের চারজন। স্বতন্ত্র (কাঁচি) সাদ্দাম হোসেন, স্বতন্ত্র (ট্রাক) হুকুম আলী খান, স্বতন্ত্র (ঈগল) মার্জিয়া সুলতানা, স্বতন্ত্র (মোড়া) আবু সাইদ, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) খলিলুর রহমান, কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) বাদশা আলমগীর।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) আসনেও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়বেন জিএম কাদেরের ভাগ্নে বর্তমান সংসদ সদস্য আদেলুর রহমান। তবে তার মাথাব্যথার কারণ হবেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন (ট্রাক)। এ ছাড়াও আছেন স্বতন্ত্র (কাঁচি) সিদ্দিকুল আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র (আম) আব্দুল হাই সরকার, তৃণমূল বিএনপি’র (সোনালী আঁশ) আব্দুল্লাহ আল নাসের, জাসদের (মশাল) আজিজুল হক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (মশাল) সাজেদুল করিম।
গাইবান্ধা-২ (গাইবান্ধা সদর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুর রশীদ সরকারকে লড়তে হবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসা আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ট্রাক) শাহ সারোয়ার কবীরের সঙ্গে। এ ছাড়াও মাঠে আছে স্বতন্ত্র (ঈগল) মাসুমা আক্তার, স্বতন্ত্র (ঈগল) মফিজুল হক সরকার, জাসদ (মশাল) গোলাম মারুফ মনা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র (আম) জিয়া জামান খান।
সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আশরাফুজ্জামানকে ভোটের মাঠে লড়তে হবে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদের (ঈগল) বিরুদ্ধে। আবার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনছান বাহার বুলবুলেরও (স্বতন্ত্র, কাঁচি) রয়েছে নিজস্ব ভোট।
পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মাশরেকুল আজমকে লড়তে হবে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রুস্তম আলী ফরাজীর (ঈগল) বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও প্রত্যাহার করা মো. আশরাফুর রহমানের বড় ভাই মো. শামীম শাহনেওয়াজ (কলার ছড়ি) লড়ছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পড়তে হবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামও আছেন ভীষণ চাপে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়া মাহমুদ হাসানের বিরুদ্ধে কষতে হবে ভোটের অঙ্ক। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এই আসনে মাহমুদ হাসানের নিজস্ব ভোটব্যাংক থাকায় কোণঠাসা বর্তমান এই সংসদ সদস্য।
মানিকগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেলও আছেন দ্বিমুখী চাপে। আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ (ঈগল) লড়ছেন এই আসনে।
বর্তমান সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কর্মী-সমর্থকরা হবেন এই এলাকার ভোটের ট্রাম্পকার্ড। সেক্ষেত্রে রুবেলকে সামলাতে হচ্ছে দ্বিমুখী চাপ।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (কেটলি) এছাড়াও আরেক ছাত্রনেতা নাছির হায়দার করিমও (ঈগল) আছেন মাঠে। এই এলাকায় আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়ে যাওয়া ও কিছু অংশের সমর্থন থাকায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।
ফেনী-৩ (সোনাগাজী ও দাগনভূঞা) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ। তবে এই আসনে মাসুদ ভোটের মাঠে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরীর দুশ্চিন্তায়। তাকে লড়তে হবে স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর (ঈগল) বিরুদ্ধে। এলাকায় তার পরিচিতি ও ভোটব্যাংক নিয়ে চিন্তিত থাকতে হবে লাঙ্গলকে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ (ট্রাক) রয়েছেন নির্বাচনের লড়াইয়ে।
নির্ভার থাকতে পারছেন না বরিশাল-৩ (মুলাদি-বাবুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আতিকুর রহমান (ট্রাক)। এছাড়াও লড়াইয়ে আছেন স্বতন্ত্র (ঈগল) মোহাম্মদ আমিনুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির (হাতুড়ি) টিপু সুলতান, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) শাহানাজ হোসেন ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (ছড়ি) আজিমুল হাসান জিহাদ।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ বর্তমান সংসদ সদস্য। তার বিপক্ষে ভোটের মাঠে লড়ছেন বিএনপি’র সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম (স্বতন্ত্র, ট্রাক)।
বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। ভোটে আছেন স্বতন্ত্র (ঢেঁকি) আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, স্বতন্ত্র (ট্রাক) জয়নাল আবেদীন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) আবু বক্কর ছিদ্দিক, জাসদ’র (মশাল) গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) ফখরুল হাসান, ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র (টেলিভিশন) ওমর ফারুক সিজার, কল্যাণ পার্টি (হাত ঘড়ি) আইরিন আক্তার, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট-মুক্তিজোটের (ছড়ি) খন্দকার রবিউল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি- এনপিপি’র (আম) মর্জিনা খান।
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ) থেকে লাঙ্গল নিয়ে লড়াই করা সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদও কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী তিনজন হলেন- স্বতন্ত্র (ঈগল) আশা মনি, ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) গোপাল চন্দ্র রায় ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের (কুলা) খলিলুর রহমান সরকার।
কুড়িগ্রাম-১ সাবেক সংসদ সদস্য একেএম মোস্তাফিজুর রহমানেরও অবস্থা কিছুটা একই। এখানেও নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে ভোটের মাঠে আছেন তরীকত ফেডারেশনের কাজী মো. লতিফুল কবীর (ফুলের মালা), আব্দুল হাই (জাকের পার্টি), নূর মোহাম্মদ (এনপিপি) ও মনিরুজ্জামান খান ভাসানী (একতারা)। এই এলাকায় একবারেই নেই নির্বাচনের আমেজ।
বর্তমান সংসদ সদস্য (কুড়িগ্রাম-২) পনির উদ্দিন আহমেদও আছেন চাপের মুখে। ফুলবাড়ী উপজেলার পরিচিত মুখ হামিদুল হক খন্দকার (ট্রাক) প্রস্তুতি নিচ্ছেন চ্যালেঞ্জ জানাতে।
পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের আসনেও নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী। অন্য প্রার্থীদের অবস্থান খুব একটা শক্ত না।
বগুড়া-৩ (আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া) আসনে নূরুল ইসলাম তালুকদার আছেন ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অজয় কুমার সরকার (কাঁচি) আছেন শক্ত অবস্থানে। আবার সাইফুল্লাহ আল মেহেদীর (ট্রাক) আছে এলাকায় জনপ্রিয়তা। এই আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৫ আসনেও লড়াইয়ের মুখে রয়েছেন জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি। তিনিও মহাসচিবের মতো ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ প্রার্থী হিসেবে পোস্টার সাঁটিয়েছেন। যদিও জাতীয় পার্টির এ প্রার্থীকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও এই এলাকার সংসদ সদস্য কেএম খালিদের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সভা করে সমর্থন দিয়েছে। এ আসনে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট বদর উদ্দিন আহমদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুলকে সমর্থন দিয়েছেন নৌকা পেয়েও প্রত্যাহার করা আবদুল হাই আকন্দ।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ভালো অবস্থানে আছেন জাপা প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান। এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি শুরুতেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীও নেই। যেসব প্রার্থী আছেন তাদের অবস্থান খুব একটা ভালো না।