২৪ ডিসেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি
শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশ ও আওয়ামী গুণ্ডারা বাঁধা দিয়েছে। বাধা ও গুলি উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন জেলায় গণমিছিল করেছে বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দল। পুলিশের গুলিতে পঞ্চগড়ে শাহাদাত বরণ করেছেন এক বিএনপি কর্মী। বিভিন্ন জায়গায় যুগপৎ কর্মসূচিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
যুগপৎ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল লড়াই করছে। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মানুষ ভোট দিয়ে জনগণের সরকার গঠন করবে। বক্তারা বলেন, জনগণের রায়ে সরকার গঠন করলে বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের ধ্বংস করা রাষ্ট্রীয় কাঠামো মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মেরামত করবে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। ২০ দলীয় জোটের বাইরে গিয়ে বিএনপি সরকার বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু করেছে। এই কর্মসূচি রাজপথে গড়িয়েছে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর)। প্রথম দিনের কর্মসূচি ছিল সারা দেশে জেলায় জেলায় প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ১০ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণমিছিল বের করবে।
সকাল থেকে ঢাকা মহানগর ও জেলা ছাড়া সারা দেশে গণমিছিল কর্মসূচি বের করে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল গুলো। বিএনপি’র কর্মসূচিতে বিভাগীয় পর্যায়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং জেলায় জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিবদের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম:
সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ার দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল নগরের কুমার হল সংলগ্ন বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল বের হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাউকে ভোট চুরি করতে দেওয়া হবে না। এবার ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে। তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে।
তিনি বলেন, দখলদার, ফ্যাসিস্ট, অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারের বিদায়ের জন্য দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার প্রতিফলন আজকে এ বরিশালে বিএনপির গণমিছিল প্রমাণ করেছে। দেশে আজ গণজোয়ার শুরু হয়েছে। গণজোয়ারে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় নিতে হবে। মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেতে চায়, তার ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাক স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা এবং ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেতে চায়। মানুষ এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। জীবন দিয়ে হলেও এবার তারা গণতন্ত্র রক্ষা করবে।
গণ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন, কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
গণমিছিলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বাগেরহাট:
গণমিছিলে বাধা দিতে আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গুণ্ডারা বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়ি, শহরের সরুইস্থ দলীয় কার্যালয় এবং শ্রমিক দলের সাবেক জেলা সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়েছে।
শনিবার সকালে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে আওয়ামী ছাত্রলীগের জঙ্গি গুণ্ডারা আসেন। এসময় তারা হামলা বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়ি ভাংচুর করেন।
এছাড়া বাগেরহাট জেলায় দলীয় কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা এবং পুলিশের আটকের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বাগেরহাট জেলা বিএনপি।
এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, সকাল ১০টার দিকে আমার চাচাতো ভাই আলী রেজা আহমেদের স্ত্রী মারা গেছেন। সেজন্য আমরা পারিবারিকভাবে দুঃখ ভারাক্রান্ত রয়েছি। আমরা নিহতের দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় শতাধিক মোটরসাইকেলে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা এসে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। ভাইয়ের স্ত্রী মৃত্যুর খবর শুনে আত্মীয়-স্বজন এসেছিলেন। তাদের বসার জন্য আনা চেয়ার ও বাড়ির ভেতর ঢুকে রুমের দরজা-জানালা ভাঙচুর কওে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা। তাদের আমরা যতই বলি, এখানে একজন মানুষ মারা গেছেন। এর জন্য লোকজন আসছে, এরা সবাই আমাদের স্বজন, তা না শুনে ওরা সব কিছু ভাঙচুর করে চলে যায়। এ ঘটনায় আসলে আমার কিছু বলার ভাষা নেই।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম আরও বলেন, সারাদেশে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সকাল থেকে আমাদের অফিস পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। আমাদের কোনো নেতাকর্মী ভেতরে ঢুকতেই পারেনি। সেখানে মিছিল করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। যাকে পাচ্ছে তাকে আটকে তৎপরতা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা মিছিল করতে পারেনি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল বাগেরহাটে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এসে আমাদের অফিসের দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। অফিস তালাবদ্ধ থাকায় দেওয়াল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তারা হামলা ও ভাঙচুর করে। এছাড়া গেল দুই-তিনদিন ধরে আমাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এছাড়া পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতার করেছে। যার কারণে আমরা কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারিনি।
খুলনা:
খুলনায় বিএনপির গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে মহানগরের থানার মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের পর কেসিসি মার্কেট চত্বরে গিয়ে গণমিছিলটি শেষ হয়।
গণমিছিলের আগে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ইতিহাসের কিছু সত্য জানাতে এখানে এসেছি। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় থাকতে একটি নির্বাচন দেই। এরপর আর একটি নির্বাচন হয়, যার আগে পল্টনে এমন একটি সমাবেশ থেকে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, জনগণের জন্য রাজনীতি করে দাবি করে মঈন খান বলেন, ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন। এমন আর একটি নজির স্থাপনের জন্য তিনি আজকের সরকারের প্রতি আহবান জানান।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
ঝিনাইদহ:
১০ দফা বাস্তবায়নসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আয়োজনে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মডার্ন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এস এম মশিয়ুর রহমান, বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সহসভাপতি আক্তারুজ্জামানসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় গণমিছিলের প্রস্তুতিকালে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামানসহ পাঁচ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ৩টার দিকে শহরের কোর্টমোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরে শহরের শহীদ রবিউল ইসলাম সড়ক নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির কর্মসূচি।
আটকরা হলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, বিএনপি নেতা আবু হানিফ ও জোলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব খাঁন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গণমিছিলের প্রস্তুতি নিতে শহরের কোর্টমোড় এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় বিএনপি নেতাদের। সেখান থেকে আটক করা হয় বিএনপির পাঁচ নেতাকে।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পালন করার প্রস্তুতি চলছিল। ওই কর্মসূচি পণ্ড করতে পুলিশ সদস্যরা দলের নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে তাদেরকে জোরপূর্বক আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফেনী:
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন হবে। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ধ্বনি শোনা যায়।
শনিবার বিকেলে গণমিছিল উত্তর সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ফেনী শহরের বড় মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি বের করে শহরের ট্রাংক রোড, প্রেসক্লাব ও বড় বাজার হয়ে তাদের জেলা কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
ভিপি জয়নাল বলেন, কঠিন ও কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে দেশের আপামর জনসাধারণ সামিল হচ্ছে। শিগগিরই গণআন্দোলনে এই সরকার তাদের গদি ছেড়ে পালাবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, গাজী হাবিুল্লাহ মানিক, আনোয়ার পাটোয়ারীসহ জেলা নেতারা।
গণ-মিছিল ও সমাবেশে বিএনপি ও এর সব অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতারা আরও বলেন, অনেক হয়েছে, প্রতিবাদ অনেক করেছি, এবার প্রতিরোধের পালা। নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেরাই করতে হবে। পুলিশ তো সরকার দলের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছে তাদের কাছে আম জনতার চাওয়ার কিছু নেই। তারা সরকারি পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
নোয়াখালী:
জেলা শহর মাইজদিতে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ গণমিছিল বের করে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অবাধ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে এ গণমিছিলের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
লক্ষ্মীপুর:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরেও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। সকালে মিছিলটি শহরের গোহাটা সড়ক থেকে বের হয়ে বাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বাস ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা হয়। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব সাহবুদ্দিন সাবুসহ বিএনপির নেতারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও গণমিছিল করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টায় শহরের সরকারি কলেজ মোড় থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে গণমিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাওয়ার হাউজ রোড মোড় গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মাদারীপুর:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪শে ডিসেম্বর) সকালে দলটির নেতাকর্মীরা বিশাল একটি মিছিল নিয়ে বের হন। মিছিলটি শহরের চৌরাস্তায় অস্থায়ী কার্যালয় থেকে বের হয়ে পুরান বাজার এলাকার মিলন সিনেমা হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহানদার আলী জাহান, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদাৎ হাওলাদার, সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ পারভেজ।
মুন্সিগঞ্জ:
দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জেও গণ মিছিল বের করে বিএনপি। তবে সেটি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুরে গণমিছিল বের করতে চাইলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে দলটির নেতা কর্মীরা।
বিষয় নিয়ে পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় একটি গণমিছিল নিয়ে মুক্তারপুর গোসাইবাগ এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে পথসভা করি। পুলিশ বাধা দিলেও আমরা আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি।
ফরিদপুর:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফরিদপুরেও বিএনপির গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ গণমিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রায় আধঘণ্টা রাজপথে অবস্থানের পর পুলিশের বাধার মুখে গণমিছিল পণ্ড হয়ে যায়।
শনিবার সকাল থেকেই জেলা শহরের কাঠপট্টি সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া ফরিদপুর প্রেসক্লাব, সাবেক মন্ত্রী কামাল ইউসুফের বাড়ির সামনে, কোর্ট চত্বরে ও হাসপাতালের সামনেসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ সময় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
গণমিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, সরকার পুলিশি বাধা দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ ছোট ছোট আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তবে ছোট ছোট আন্দোলনে বাধা দিয়ে সরকার আন্দোলনকে দুর্বার করে তুলছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, গণমিছিল আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। যারা বাধা দিচ্ছে আমরা তাদের ধিক্কার জানাই।
এ সময় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুর:
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতার সব নেতাকর্মীর মুক্তি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিল করেছে দিনাজপুর জেলা বিএনপি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় দিনাজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে তাদের কার্যালয়ে সমাবেশ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান মিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান বাবু, মোকাররম হোসেন, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, সব ধরনের দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই সরকারকে আর বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য ২৭ দফা দাবি রাষ্ট্র সংস্কার, সমাজের সংস্কার এবং রাষ্ট্রের আইন-কানুন সংস্কারের জন্য জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। তা বাস্তবায়ন এবং চাল, ডাল, তেল, শিশুখাবারসহ সবকিছুর আকাশচুম্বী মূল্য এর হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করা। এ আন্দোলনে আমাদের ৮ জন নেতাকে শাহাদৎবরণ করতে হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ যেসমস্ত নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করেছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি নিয়ে আজকে আমরা রাজপথে। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আজকে যে গণবিস্ফোরণ সৃষ্টি হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান, এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে খুনি হাসিনাকে বিদায় নিতেই হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশকে রক্ষায় যেসব দাবি নিয়ে বিএনপি আজকে গণমিছিল করছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। এসব দাবি সরকার মেনে নেবে আমরা এটাই চাই। নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেন তারা।
লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটে ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গণমিছিল করেছে জেলা বিএনপি। দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি গণমিছিল বের করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে গণমিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে মিশন মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সদর বিএনপির আহ্বায়ক একেএম মমিনুল হক, পৌর বিএনপির সম্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ, সম্পাদক হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু ইয়াহিয়া ইউনুস, সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, জেলা ছাত্রদল নাজমুর হুদা লিমন ও জাহাঙ্গীর আলম আনন্দ প্রমুখ।
গাইবান্ধা:
১০ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে গাইবান্ধা গণমিছিল করেছে জেলা বিএনপি। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিলে নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঢল নামে। শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামন থেকে থেকে গণমিছিল বের হয়।
মিছিলটি শহরের পোরপার্ক এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়লেও বাধা উপেক্ষা করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পুনরায় কার্যালয় চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। সঙ্গে ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল, সহ-সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান শহীদ, মোর্শেদ হাবীব সোহেল, কাজী আমিরুল ইসলাম ফকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক মোশাররফ হোসেন বাবু, অ্যাড. মনজুর মোর্শেদ বাবু, আনিছুর রহমান নাদিম প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা প্রায়ই বলেন মাঠে খেলা হবে। তাকে আজ বলতে চাই ১০টি খেলায় বিএনপি জিতেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরে ঢাকার খেলা হবে। সে খেলায় বিএনপি জিতবে।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়ায় হুশিয়ারি সমিতি মিলনায়তনের গলিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচির আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের গণজমায়েত দেখে খুশি। আপনারা জানেন কীভাবে সরকার অত্যাচার করছে। অনেক জায়গায় তারা আমাদের গণমিছিলে গুলি করেছে।
গত ৭ই ডিসেম্বর আমাদের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে চার-শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। মীর্জা ফখরুল ও মীর্জা আব্বাসকে ডিবি অফিসে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। আপনারা জানেন এ সরকার একটি অবৈধ সরকার। নিশি রাতের সরকার। এ সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। তারা সারা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে সারাদেশে হাজার হাজার গায়েবি মামলা। বিচার বিভাগকে করায়ত্ত করে নেতারা যেন জামিন না পায় সে ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, তারা ভেবেছে দেশের সব সম্পদ লুট করে ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসবে। এদেশে জিয়ার সৈনিকেরা বেঁচে থাকতে তা আর হবে না। বাংলাদেশের মানুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করে। যত অত্যাচার করা হোক মানুষকে দাবিয়ে রাখতে তারা পারবে না।
তারা সম্মেলন সম্মেলন করে। আজও তাদের সম্মেলন। তারা ভাবে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা নির্বাচন করবে। আমি বলে দিতে চাই এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না। গত নির্বাচনে যে ভোট চুরির নির্বাচন কমিশন ছিল বর্তমান নির্বাচন কমিশন তার চেয়েও খারাপ। আমরা এ নির্বাচন কমিশন মানি না।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। মশিউর রহমান রনির নামে মামলা দেওয়া হয়েছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ গণমিছিলের মাধ্যমেই তিনি মুক্তি পাবেন। তারা বলে বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমি তার আইনজীবী হিসেবে বলতে চাই সেখান থেকে একটি টাকাও আত্মসাৎ করা হয়নি। সেই টাকা এখন ব্যাংকে তিনগুণ।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ,কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন।
পিরোজপুর:
পিরোজপুরে বিএনপির মিছিলে ছাত্রলীগের হামলায় কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল ১১টায় জেলার পোস্ট অফিস রোডের জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বিক্ষোভ মিছিল করতে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপ্না সুলতানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান রুবেল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মারুফ হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজ মাহমুদসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে কার্যালয়ের দরজা-জানালাসহ বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করে।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে জেলা হাসপাতালে গেলে ছাত্রলীগের লোকজন সেখানে গিয়েও হামলাসহ তাদের ধাওয়া করে।
কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গণমিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার দুপুরে জেলা শহরের স্টেশন রোডে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল আওয়াল মিন্টুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গণমিছিলে অংশ নেন।
এসময় উপস্থিত থেকে গণমিছিলে অংশ নেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া প্রমুখসহ হাজারো নেতাকর্মী।
গণমিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়।