সরকারের দমন নীতির নিন্দা বিশিষ্ট নাগরিকদের

logo

স্টাফ রিপোর্টার

১১ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের দমন নীতির নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা নাগরিকদের সভা সমাবেশের অধিকার সুরক্ষায় সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গত কয়েক মাস যাবত  অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সহ বিভিন্ন দাবীতে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি সারাদেশে সভা সমাবেশ আয়োজন করে যাচ্ছে। নানা সরকারী বাধা ও উস্কানি সত্ত্বেও এসব সভা সমাবেশের আয়োজন ছিল শান্তিপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ই ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় যে সমাবেশের আয়োজন করে তাতে সরকার যেভাবে দমন নির্যাতন চালিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিশেষ করে বিএনপির প্রস্তুতি সমাবেশে পুলিশ গুলি করে ১ জনকে হত্যা ও আরো অনেককে আহত করা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাকর্মীতের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার ও মামলা দায়ের এবং বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের হামলার ঘটনা বাক-স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের অধিকারের চরম লংঘন বলে আমরা মনে করি।

বিবৃতিতে বলা হয়, একই সাথে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমতকে দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনী রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর খবরদারী,  নাগরিকদের দেহ ও মোবাইল ফোন তল্লাশীসহ যে  বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে তা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি এবং এর তীব্র নিন্দা জানাই।

সভা-সমাবেশের অধিকার আমাদের সংবিধান সম্মত মৌলিক অধিকার।  আমরা সরকারকে এ অধিকারের লংঘন থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন- নির্যাতন থেকে বিরত থাকার দাবী জানাচ্ছি। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া যেসব বিএনপির নেতা-কর্মী গেপ্তার হয়েছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের দাবী করছি।

বিবৃতিদাতারা হলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  এম হাফিজ উদ্দিন খান,  মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ আনু মুহাম্মদ,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহ্দীন মালিক, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সুব্রত চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও নাসরিন খন্দকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকার কর্মী শারমীন মুরশিদ, শিরিন হক, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, এডভোকেট সালমা আলী, হানা সামস আহমেদ, নাসের বখতিয়ার, গবেষক ড. বীণা ডি কস্টা, ড. সায়দিয়া গুলরুখ ও রোজিনা বেগম।