দেশের প্রত্যেকটি গুমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বলেন, প্রত্যেকটি গুমের পেছনে আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। এখন তাদের মুখ থেকেই একথা বেরিয়ে আসছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আজকের এই দিবসটি আন্তর্জাতিক গুম দিবস।সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিকামী মানুষ এই দিবসটি পালন করছে। বিভিন্ন দেশের স্বৈরাচার দানবীয় সরকারের বিরুদ্ধে যারা রাষ্ট্রকে এবং বিরোধী পক্ষকে নির্মূল করার জন্য এই গুমের মত কর্মসূচি নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই আজকের এই দিবস।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘গুম এবং বিচারবর্হিত হত্যা মানবতার সবচেয়ে ভয়াবহতম অপরাধ। এই অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনা। এই অপরাধ করেছেন আওয়ামী লীগ সরকার। আজকে ইলিয়াস আলী কেন হারিয়ে যাবে? চৌধুরী আলম কেন হারিয়ে যাবে? এটা তো পারিবারিক কোন বিরোধ নয়। সাইফুল ইসলাম হিরু, সুমন, জাকির কেন হারিয়ে যাবে, বিএনপি সরকারের সাবেক একজন মন্ত্রী যিনি বারবার এমপি হয়েছেন তাকে বিদেশে গুম করা হয়েছে। এর সঙ্গে শেখ হাসিনা জড়িত। এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত। না হলে এ পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ গুম হবে কেনো।’
রিজভী বলেন, ‘কয়দিন আগে একজন মন্ত্রী বলেছেন, মাঝ সমুদ্রে অনেকে জাহাজ ডুবিতে মারা গেছে। সলিল সমাধি হয়েছে।এটা কিন্তু সত্যি কথা বলেছেন। গুয়েতেমালা, আর্জেন্টিনা, চিলিতে এখানে সামরিক লোকেরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গুম করার জন্য বিমানে করে নিয়ে ওইসব নেতাদের আটলান্টিকের মাঝে ফেলে দিতো। এটার সঙ্গে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য মিলে যায়। আপনারা আমাদের নেতাদের কোথায় ফেলেছেন…ভারত মহাসাগরে ফেলেছেন। এইটা এখন খোলাসা করে বলুন। এই যে আয়নাঘরের কথা। এটাও স্বীকার করেছে এই আওয়ামী লীগের একজন প্রধান নেতা। তার নাম হানিফ।’
‘তিনি বলেছেন, ১/১১ সরকার হলো বিএনপি জামায়াত সরকার। অথচ শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, আমাদের আন্দোলনের ফসল ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিন সরকার। এই হানিফ সাহেব বলেছেন, ১/১১ সরকারের সময় আয়নাঘর করা হয়েছে। তার মানে এই আয়নাঘর আপনারা করেছেন। এখানে বিএনপিসহ অসংখ্য মানুষকে যে নিপীড়ন, নির্যাতন করা হয়েছে এটি আওয়ামী লীগ জানে এবং তাদের পরামর্শে করা হয়েছে।’
মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/ডিএম)