- ক্রীড়া সংবাদদাতা
- ১৩ জুন ২০২২, ১৮:৫৩
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংবাদ-কর্মীদের মুখে মুখে জিকো-ইব্রাহিম-বাদশাদের প্রশংসা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকা থেকে আসা দলটির সুনাম না করে পারলেন না তুর্কমেনিস্তানের কোচ হাজো গেলদিয়েভ ইয়াসগুলিও। এদের প্রশংসিত বাক্যের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, সবাইতো আমাদের দুর্বল ভেবেছিল। মনে করেছিল আমরা প্রতি ম্যাচে চার থেকে পাঁচ গোল করে হজম করবো।
‘ই’ গ্রুপের র্যাংকিংয়ে চার দলের সবার তলানিতেই বাংলাদেশ। এশিয়ান বাছাই পর্বের দু’ম্যাচ শেষেও লাল-সবুজদের অবস্থান সবার নিচে। তবে মাঠের লড়াই প্রতিপক্ষদের জানান দিয়েছে, ডিফেন্সের ভুল ও গোল মিস না হলে জামালরাই থাকতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে।
হাভিয়ার কাবরেরা বাহিনীর এমন পারফরম্যান্সে বিস্মিত মালয়েশিয়ার মিডিয়া থেকে শুরু খেলোয়াড় ও কোচরা।
সোমবার সংবাদ সম্মেলন শেষে ডেনমার্ক প্রবাসী এ ফুটবলার বলেন, এটা আমাদের তারুণ্য নির্ভর দল। ইনজুরির জন্য সুমন রেজা, মতিন মিয়া, জনি ও তারিক কাজী আসতে পারেনি। জীবনেরও আসা হয়নি। এই অভিজ্ঞরা দলে থাকলে ফল ভিন্ন হতে পারতো। এরপরও তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে চমৎকার খেলছে বাংলাদেশ।
জামাল জানান, এখন আমাদের শেষ ম্যাচ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। এ ম্যাচ জিতেই শেষ করতে চাই বাছাই পর্ব। আমার আত্মবিশ্বাস, তাদের হারাতে পারবো। অন্য ফুটবলারদের মধ্যে তারিক কাজীকে খুব মিস করছেন বলেও জানান বাংলাদেশ দলপতি।
তার মতে, বিশেষ করে তারিক থাকলে ডিফেন্স লাইনটা আরো পোক্ত হতো। কপাল খারাপ ইনজুরি তাকে দলের সাথী হতে দেয়নি। ফলে তার জায়গায় অন্যজনকে খেলাতে হচ্ছে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেললে লাল-সবুজ জার্সিতে ৬৫তম ম্যাচ খেলা হবে জামালের। যা যেকোনো বাংলাদেশী হিসেবে সর্বোচ্চ। যদিও আলফাজ আহমেদের দাবি, তিনি ৭০টির উপরে ম্যাচ খেলেছেন জাতীয় দলে।
জামাল জানালেন, আমি অবগত নই এতো ম্যাচ খেলার ব্যাপারে। আমিতো ভেবেছিলাম সালাহউদ্দিন ভাইয়ের মতো গ্রেট ফুটবলার ১০০-এর মতো ম্যাচ খেলেছেন। আসলে এ হিসেব আমি রাখিনি। আমার কাজ হলো খেলা।
মিসের কষ্ট তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সাজ্জাদ-বাদশাকে
বাংলাদেশ দলের স্ট্রাইকার সাজ্জাদ ও বাদশাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে কষ্ট এমনটা জানালেন নিজেরা। গত ১১ জুন তাদের লক্ষ্য ঠিক থাকলে তুর্কমেনিস্তানের সাথে বাংলাদেশ দলের ফলাফলটা ভিন্নও হতে পারতো। সাজ্জাদ দুই দফা বিপক্ষ দলের কিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। আর ৯০ মিনিটে পোস্টের কয়েক ফুট সামনে থেকে ফাঁকা পোস্টে বল না রেখে বাদশা বারের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে। যার ফলে, স্কোর ২-২ না করে ১-২ এ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
সোমবার হোটেল লবীতে স্ট্রাইকার সাজ্জাদ বলেন, পা পিছলে যাওয়ায় আমি সময়মতো শট নিতে পারিনি। এরপর গোলরক্ষক জায়গা ব্লক করে ফেলে।
বাদশা বলেন, আমি পোস্টেই বলটি রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা চলে গেল অবিশ্বাস্যভাবে বারের ওপর দিয়ে।’ দু’জনই বলেন, খুব খারাপ লাগছে।