শাহদীন মালিক: নূরুল হুদাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে

 

 

 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, সেটা আজ হোক আর কাল হোক।

shahdin malik nurul hudaড. শাহদীন মালিক ও কে এম নূরুল হুদা

সম্প্রতি নূরুল হুদা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সম্পর্কে মিথ্যচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন।

সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া হলো— ড. বদিউল আলম মজুমদারকে যেভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন সিইসি নূরুল হুদা, তাতে আমি মোটেও আশ্চর্য হইনি। কারণ কেউ যখন একটা পদে থাকে এবং তার কাজের যখন সমালোচনা হয় তখন সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সমালোচনাকে পাশ কাটানোর জন্য সমালোচককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা, যদি না ওই সমালোচনা উৎরানোর কোনো সদুত্তর কিংবা কোনো ব্যাখ্যা তার কাছে না থাকে।

তিনি বলেন, এটা অবশ্যই একটা নিকৃষ্ট পন্থা। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বর্তমানে আমাদের রাজনৈতিক বয়ানে এটাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। কেউ কারো কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলে তা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে সমালোচককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করব, তার এই কর্মকাণ্ডের জন্য, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য, ড. বদিউল আলম মজুমদারের মতে- নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য এবং তার বিরুদ্ধে আমরা যেসব অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছি— তার জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, সেটা আজ হোক, কাল হোক কিংবা পরশু হোক। এ ব্যাপারে আমার নিশ্চিত বিশ্বাস আছে।

এ সময় সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সিইসি নূরুল হুদার মিথ্যাচারে আমরা স্থম্ভিত। তিনি যে মিথ্যাচার করেছেন, সে বিষয়ে তাকেই প্রমাণ দিতে হবে। একই সঙ্গে জবাবও দিতে হবে যে, তার কাছে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকলে তা কেন প্রকাশ করেননি? কিংবা কেন তিনি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করলেন না? অথবা বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনেই বা কেন তা পাঠালেন না?