- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনা মহামারির ধাক্কায় পুরুষরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় নারীদের স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রাখা হচ্ছে দক্ষিণ ভারতে। ফলে স্থানীয় স্বর্ণঋণ সংস্থাগুলোতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন অর্থনৈতিক সংকটে থাকা সাধারণ মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার এমন তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া ছেলের পড়ানোর ফি জমা দিতে সোনার গয়না বন্ধক রাখতে এসেছেন এক গৃহবধূ। করোকালে তার স্বামী কর্মহীন হয়ে পড়ায় ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। লাইনে দাঁড়ানো আরেক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জানান, তার লোহার যন্ত্রাংশের কারখানা লকডাউনে মার খাচ্ছে। ফলে কর্মীদের পূজার বোনাস দিতে স্ত্রীর গয়না বন্ধক রাখছেন তিনি।
কেবল দক্ষিণ ভারতেই নয়, পুরো ভারতেই একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। করোনাকালে দিশাহারা বহু সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সোনার গয়না বন্ধক রেখে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, আগস্টে সোনা বন্ধক রাখার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি রুপি। যা বিধিনিষেধ শিথিলের পর গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ হাজার কোটি রুপি। ফলে এক বছরের ব্যবধানে স্বর্ণঋণ বেড়েছে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত।
পরিসংখ্যার অনুযায়ী, গেল বছর মার্চে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেয়ার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৩ হাজার কোটি রুপি। তখন করোনার সংক্রমণ বন্ধে লকডাউন চলছিল। ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ঋণের মধ্যে স্বর্ণঋণ ২ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। বছর দুই আগেও যা ছিল ১ দশমিক ২ শতাংশ।