- ইকতেদার আহমেদ
- ২৩ আগস্ট ২০২১
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জাতিসঙ্ঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। এ সংস্থাটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। জাতিসঙ্ঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রই এর সদস্য। এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত। সংস্থাটি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। সা¤প্রতিককালের এ সংস্থার একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়াভুক্ত আটটি দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৭৬, এরপর যথাক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮, ভারতের ১১২, পাকিস্তানের ১২২, ভুটানের ১২৪, মালদ্বীপের ১৪৭, নেপালের ১৫০ ও আফগানিস্তানের ১৭৩। এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্রের মধ্যে সিঙ্গাপুর, ওমান ও জাপানের অবস্থান যথাক্রমে ৬, ৮ ও ১০। অপর দিকে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার অবস্থান যথাক্রমে ১৮, ৩০, ৩২ ও ৩৭। আমাদের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার অবস্থান ৪৭ ও ৪৯।
আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় বিপুলসংখ্যক লোক ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় গমন করে থাকে। এ চারটি দেশের মধ্যে ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী হওয়ায় এবং ভারতে বিমান ও স্থল উভয়ভাবে যাওয়ার সুবিধা থাকায় অধিকসংখ্যক লোক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে ভারত গমন করে থাকে। ভারতে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগীদের প্রথম যে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সেটি হলো ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতা। ভারতে চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে প্রতারিত বা অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা অগণিত। আমাদের দেশ থেকে সাধারণত লোকজন চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য ভারতের চারটি শহর যথা কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও মুম্বাই গিয়ে থাকে। এদের মধ্যে যারা শহরগুলোর সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য দেশে অবস্থানকালীন যোগাযোগ করে যায় তাদের খুব একটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না; কিন্তু এসব শহরে পৌঁছানোর পর যারা হাসপাতাল ও ডাক্তারের খোঁজ করতে থাকেন তাদের প্রায় শতভাগকেই দালালের কবলে পড়ে অযথা বাড়তি অর্থ ব্যয়সহ হয়রানি ও প্রতারণার সম্মুখীন হতে হয়। ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীর মৃত্যু হওয়ার পরও দামি ইনজেকশন দেয়ার নাম করে অর্থ আদায় এবং নিশ্চিত মৃত্যু হওয়ার পরও লাইফ সাপোর্ট, আইসিউ বা সিসিইউতে রেখে দিয়ে বাড়তি অর্থ আদায়ের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে।
আমাদের দেশের অনেক অসচেতন মানুষজনের বিশ্বাস আমাদের দেশের তুলনায় ভারতের হাসপাতালগুলোর ও চিকিৎসকদের চিকিৎসার মান ভালো। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যেটির বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই সদস্য, এর প্রতিবেদন প্রত্যক্ষ করলে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবার মান ভারতের চেয়ে ভালো। স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দেয় আন্তর্জাতিকভাবে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থার প্রতিবেদন দ্বারা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার মান ভারতের চেয়ে উন্নত হওয়া সত্ত্বেও কেন আমরা সেখানে গিয়ে অযথা অর্থের অপচয় করছি অথবা অপচিকিৎসা বা হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছি?
আমাদের দেশের রাষ্ট্র খাতের চিকিৎসাব্যবস্থা প্রত্যন্ত ইউনিয়ন অবধি বিস্তৃত। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত অন্যূন একটি হাসপাতাল রয়েছে। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একাধিক বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালে পরামর্শক চিকিৎসক পদায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা ও জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালগুলো সাধারণ হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃত হলেও এগুলোতে জটিল নয় এমন শৈল্য চিকিৎসা সম্পন্নের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরের হাসপাতালগুলোয় কর্মরত চিকিৎসকদের ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়ার অনুমতি থাকায় এদের অধিকাংশই অফিসবহির্ভূত সময়ে নিজস্ব বা ভিন্ন ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আকর্ষণীয় বাড়তি অর্থ উপার্জন করছেন, যা অধিকাংশ চিকিৎসকের ক্ষেত্রেই সরকারি চিকিৎসক হিসেবে প্রাপ্ত বেতনভাতাদির কয়েক গুণ অধিক। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এসব চিকিৎসক সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতালগুলোয় তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবার মান যে আরো উন্নততর হতো সে প্রশ্নে কোনো বিতর্ক নেই। অনেক উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে কর্মরত বিশেষায়িত চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়, তারা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন এবং কালেভদ্রে যেদিন উপস্থিত থাকেন তাদের আগমন ও প্রস্থান নিজস্ব ইচ্ছামাফিক চলে। এ বিষয়ে কর্র্তৃপক্ষ অবহিত হওয়া সত্ত্বেও তারা অবৈধ প্রাপ্তির যোগ থাকার কারণে সে দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ হতে বিরত থাকেন।
আমাদের দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এগুলোর চিকিৎসাসেবার মান বিভিন্ন অজানা কারণে সরকারিভাবে পরিচালিত হাসপাতালগুলো থেকে উন্নততর হওয়ায় অবস্থাসম্পন্ন রোগীরা সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণে অধিক আগ্রহ দেখিয়ে থাকে। আমাদের রাজধানী শহর ও বিভাগীয় শহরের সরকারি ও বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোয় বিশেষ চিকিৎসা যেমন বাইপাস সার্জারি, ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, কিডনি প্রতিস্থাপন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিদেশের তুলনায় সাশ্রয়ী ব্যয়ে মানসম্মত ব্যবস্থা থাকলেও বেশ কিছু অবস্থাসম্পন্ন রোগী নিজ দেশের উন্নতমানের বিশেষায়িত চিকিৎসার প্রতি আস্থা না রেখে অযথা বিদেশে গিয়ে বিশেষত ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ধরনের রোগী যারা আমাদের দেশের বিশেষায়িত চিকিৎসকদের প্রতি আস্থাশীল নন, তারা যখন গর্বভরে আমাদের বিশেষায়িত চিকিৎসকদের কাছে বিদেশী চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ হঠাৎ কোনো ধরনের সঙ্কটে নিপতিত হয়ে উপস্থিত হন, তখন এদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিয়ে আমাদের বিশেষায়িত অনেক চিকিৎসকই বলে থাকেন- আমাদের ওপর আস্থা না রেখে বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আপনারা শুধু নিজেদেরই ক্ষতি করছেন না বরং বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করে দেশেরও ক্ষতি করছেন।
এ ধরনের উন্নাসিক মানসিকতাসম্পন্ন রোগীদের ব্যাপারে আমাদের বিশেষায়িত চিকিৎসকরা ভিন্ন পথে হাটতে পারেন। দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসাব্যবস্থাকে অবমূল্যায়নের কারণে এই রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করতে পারেন দেশীয় চিকিৎসকরা। সেই ক্ষেত্রে তা চিকিৎসা নীতিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তেমন দোষণীয় হবে না। কিন্তু এর পরও আমাদের বিশেষায়িত চিকিৎসকরা এ ধরনের রোগীকে যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন সেটি তাদের এক ধরনের মহানুভবতা। বাংলাদেশের এ ধরনের বেশ কিছু বিশেষায়িত চিকিৎসকের সাথে আমার ব্যক্তিগত জানাশোনা রয়েছে। কিন্তু তাদের নাম উল্লেখ করে তাদের মহত্ত্বকে খাটো করতে চাই না।
ভারতের চিকিৎসাসেবার মান আমাদের চেয়ে নিম্নতর হলেও সে দেশের রাষ্টপ্রতি বা প্রধানমন্ত্রী বা পদস্থ ব্যক্তিরা যেকোনো ধরনের সাধারণ বা জটিল চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন দেখা দিলে তা নিজ দেশেই গ্রহণ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বর্তমানে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের চিকিৎসাসেবার মান আমাদের চেয়ে উন্নততর হলেও আমাদের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এখানকার চিকিৎসাসেবার মান এ দেশ দু’টির চেয়ে উন্নততর ছিল। উভয় দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা সব ধরনের চিকিৎসা গ্রহণের ব্যাপারে নিজ দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হওয়ার কারণে তাদের চিকিৎসাব্যবস্থার মান ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
আমাদের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা পদস্থ অনেকে যেকোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হলে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত হাসপাতাল উদ্বোধনকালে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন তার যেকোনো ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে তাকে যেন বিদেশে নেয়া না হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো রাষ্ট্রপতির অবস্থানও যদি অনুরূপ হয় সে ক্ষেত্রে তা আমাদের পদস্থ অনেককে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণে নিরোৎসাহিত করবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বক্তব্য হতে জানা যায় বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণে তারা যতটুকু না আগ্রহী তার চেয়ে অধিক আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন যারা উভয়ের বিদেশ সফরকালীন সফরসঙ্গী হওয়ার সুযোগ ভোগ করে। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার রাষ্ট্র বহন করে। তারা উভয়ে চিকিৎসার কারণে বিদেশে গেলে তাদের সাথে যে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা সফরসঙ্গী হন এর ব্যয়ভারও নেহাত কম নয়। তারা উভয়ে আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার বর্তমান মান বিবেচনায় নিজ দেশে চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী হলে দ্রুত আমাদের চিকিৎসার মান উন্নততর হবে এবং বর্তমানে অযৌক্তিক আস্থা সঙ্কটের কারণে যারা অহেতুক ভারতসহ বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করছেন তাদের বোধোদয় হবে। আমাদের দেশেও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল ও কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ঘিরে যে অপচিকিৎসা ও দালালদের দৌরাত্ম্যে রোগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন না এমনটি বলা যাবে না। তা ছাড়া আমাদের একধরনের চিকিৎসক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সাথে বিভিন্ন হারে কমিশন বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ায় অনেক ক্ষেত্রে অহেতুক বিভিন্ন পরীক্ষার নামে রোগীদের বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কিছু কিছু বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল অন্যায়ভাবে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার সম্মুখীন করে অযথা বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা সংশ্লেষে উপরোক্ত অনিয়ম ও অব্যবস্থা হতে মুক্ত থাকতে পারলে তা আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নে অশেষ অবদান রাখবে। সামগ্রিকভাবে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থার মান ভালো হলেও আমাদের দেশেও কিছু কিছু হাসপাতাল ও চিকিৎসককে ঘিরে মানুষজন যে অপচিকিৎসা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন তা লোকচক্ষুর অন্তরালে নয়। আমাদের চিকিৎসাসেবার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ও চিকিৎসক সমাজের সবার মধ্যে সেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমাদের দেশে যারা এ ধরনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তারা আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থাকে কলুষিত করে দেশের ক্ষতি করছেন। আমাদের দেশের মানুষজন চিকিৎসা সংশ্লেষে ভারতে গিয়ে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন সে অর্থ আমাদের দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা সংশ্লেষে ব্যয় করা হলে দেশের চিকিৎসাসেবা মানের আরো উন্নতি সাধিত হবে। সুতরাং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার প্রতি আস্থা রেখে আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও চিকিৎসকদের অর্থ উপার্জনকে গৌণ ভেবে চিকিৎসাসেবাকে মুখ্য ভাবতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট সবাই এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হলে আশা করা যায় ভবিষ্যতে এ দেশের মানুষজনের চিকিৎসা নিতে ভারতসহ অপর কোনো দেশের যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না; বরং ভারতসহ সেসব দেশের মানুষজন উন্নত ও সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা নেয়ার প্রয়াসে আমাদের দেশে আসবে।