বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ বলছেন, তাদের তিনজন সহকর্মীকে সাদা পোশাকের পুলিশ জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ঘন্টাখানেক পর অবশ্য তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে।
পুলিশের কোন বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে যে সংগঠনটি এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে তার আহবায়ক হাসান আল মামুন বিবিসিকে বলেন, বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলে হাসপাতালের সামনে থেকে জবরদস্তি করে গাড়িতে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
চাকরিতে কোটাঃ কী আছে বাংলাদেশের আইনে?
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
এই তিনজন – রাশেদ খান, ফারুক হাসান এবং নুরুল্লা নূর। এরা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
ছাড়া পাওয়ার পর ফিরে এসে তারা জানান, গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে তাদের গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মি মামুন জানান, সকাল ১১টার সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে তারা যখন একটি সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তখন থেকেই সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি করছিল।
সংবাদ সম্মেলনের পর আন্দোলনের এই তিন নেতা এবং কজন কর্মী গত সপ্তাহের বিক্ষোভে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হন।
হাসান আল মামুন বিবিসিকে বলেছেন, তারা এখন সাবধানে চলাফেরা করছেন।
ওদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অজ্ঞাত সংখ্যক লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এজন্যে তারা প্রাথমিকভাবে সামাজিক মাধ্যমের ৩০টি অ্যাকাউন্ট তারা তদন্ত করছেন।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, মৃত্যু ও রগ কাটার মতো মিথ্যা তথ্য প্রচার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যারা সহিংস করে তুলেছে তাদেরকে খুঁজে বের করার কাজ চলছে। এই অ্যাকাউন্টগুলো পর্যালোচনা করে তারা এখন উসকানিমূলক তথ্য প্রচারকারী ও গুজব রটনাকারীদের খুঁজে বের করবেন।
সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, তাদের অনেকের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে।
বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:
রাশিয়ার সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কায় তটস্থ ব্রিটেন