আজব হোটেলের তাজব বিল

Minar Rashid

আজব হোটেলের তাজব বিল

===================

(দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয় কলাম )

আমাদের রাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের পরিবার- এই দুটি একই কিছিমের বৈকল্যের শিকার হয়ে পড়েছে। এগুলো এমন এক মজার হোটেল হয়ে পড়েছে যে, এখানে খায় একজন, কিন্তু বিল শোধ করতে হয় অন্যজনকে। ‘উপভোগ’ করে একজন, কিন্তু পিতৃত্ব চাপে অন্যের ঘাড়ে। দোষ করে একজন, দোষী সাব্যস্ত হয় অন্যজন।
খুন হওয়ার সাথে সাথেই সুদূর ঢাকায় বসে সরকারের কোনো না কোনো মুখপাত্র জানিয়ে দেন, কে খুনি। তজ্জন্য কোনোরূপ অনুসন্ধানের দরকার পড়ে না। দোষ যেই করুক না কেন, মিডিয়া এখানে সর্বদা একজন ‘জামায়াত-শিবির’ (নন্দঘোষ ) বের করে ফেলে। এখানে বদরুলরা বদ কাজ করতে গিয়ে পিটুনি খায়। কিন্তু মিডিয়া খাদিজার আত্মীয়স্বজনকে জামায়াত-শিবির হিসেবে তুলে ধরে। ফলে বদরুলরা চেতনা রক্ষায় আরো উঁচুদরের নেতা হয়ে ওঠে।
যার গলা বা চাপার জোর যত বেশি, এ ধরনের দেশে সে তত নির্দোষ। এক হাওয়া ভবনের কথা বলে বলে নিজেরা পুরো দেশটাকেই ফতুর করে ফেলেছে। এত কিছুর পরেও হাওয়া ভবনের গন্ধ দূর হয় না। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে পড়েছে যে, সুশীলসমাজে এই সরকারের অন্যতম গুণগ্রাহী সিপিডির দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও স্বীকার করেছেন যে, এ দেশে রাস্তা মেরামতের খরচ এখন বিশ্বে সর্বোচ্চ হয়ে পড়েছে। খাচ্ছে খাওয়া ভবন, বিল উঠছে এখনও হাওয়া ভবনের নামে।
যা হোক, পশ্চিমা বিশ্বের একটি মজার গল্প দিয়ে আজকের আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। গল্পটি মিস্টার ও মিসেস কেলভিনকে নিয়ে। তাদের বাড়ি গাড়ি, টাকা-পয়সার কোনো অভাব নেই। তারপরও তাদের কোনো সন্তান না হওয়ায় কোনো শান্তি নেই। তজ্জন্য স্ত্রী নয়, স্বামীর শারীরিক ত্রুটি দায়ী বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। মাতৃত্বের স্বাদ দিতে না পারলেও সুন্দরী স্ত্রীকে তিনি খুব ভালোবাসেন। কিন্তু স্ত্রী-সন্তানের জন্য পাগল হয়ে পড়েছেন। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে তিনি সন্তান চান। বিয়েটা টিকিয়ে রেখে কিভাবে সন্তান পাওয়া যায় তা নিয়ে এ দম্পতি ভাবতে শুরু করেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে নিঃসন্তান দম্পতিরা কিভাবে সন্তান পান সেসব কথাও তাদের গোচরে আসে। এই কাজে সহযোগিতার জন্য এক শ্রেণীর পীর-ফকির কিংবা সাধু-সন্ন্যাসী রয়েছেন। এ ব্যাপারে কিছু ঘাঁটাঘাঁটি করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য তারা উদঘাটন করেছেন। কোনো কোনো মন্দির বা দরগার এমন সুনাম রয়েছে যে, সেখানে নিঃসন্তান নারীরা রাত যাপন করলেই সন্তানপ্রাপ্তির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে পড়েন। এসব ঘটনার অলৌকিক ব্যাখ্যার চেয়ে এর বস্তুগত ব্যাখ্যাটিকেই তারা অধিকতর যুক্তিপূর্ণ বলে গ্রহণ করেছেন। এসব দেশে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে যা করা হয় বলে তাদের মনে হয়েছে, এই দম্পতি সেই কৌশলটি সরাসরি কাজে লাগাতে মনস্থ করেন।
তারা তাদের প্রতিবেশী মিস্টার জনের শরণাপন্ন হলেন। মিস্টার জনের অতীত ইতিহাস ‘খুবই ভালো’। বর্তমান বিয়ে থেকে তিন সন্তান এবং তার আগে লিভ টুগেদার থেকে আরো দুই সন্তান রয়েছে। ফাদারিং কাজের জন্য তিনিই উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলেন।
তাদের মধ্যে একটা যৌথ প্রজননচুক্তি সম্পন্ন হয়ে গেল। এই চুক্তি অনুযায়ী মিস্টার জন একটি সন্তান জন্মদানের জন্য কেলভিন দম্পতিকে সাহায্য করবেন। চুক্তির একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্লজ হলো, ফাদারিংয়ের জন্য সব বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়া অনুমোদিত হলেও মিস্টার জন ও মিসেস কেলভিনের মধ্যে কোনোরূপ ভালোবাসা পয়দা হতে পারবে না। অর্থাৎ ভালোবেসে নয়, নেহায়েত চুক্তির বাধ্যবাধকতা থেকেই এই কাজটি তারা করবেন। গর্ভ ধারণ করলেই এ চুক্তির মেয়াদ অটোমেটিক্যালি অকার্যকর হয়ে পড়বে।
প্রতিবেশীর কাছ থেকে ট্রানজিট ফি আদায়কে আমাদের এক উপদেষ্টা ছোটলোকের কাজ বলে গণ্য করেন। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এ ধরনের কোনো লজ্জার রসায়ন কাজ করেনি। এই চুক্তি বিনাপয়সার ট্রানজিট ছিল না। ফাদারিংয়ের প্রতি সেশনের জন্য মিস্টার জন মিস্টার কেলভিনের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
এই চুক্তিতে কোনো গ্যারান্টি ক্লজ রাখা হয়নি। অর্থাৎ যত দিন সফল না হবে তত দিন এই মজার চুক্তিটি বলবৎ থাকবে। মিস্টার জন তার প্রিয়তমা সুন্দরী স্ত্রীর সাথে যত সেশন করবেন, কেলভিনকে নিজের পকেট থেকে তত টাকা গুনতে হবে।
চুক্তিমতো মিস্টার জন অত্যন্ত আগ্রহসহকারে তার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কয়েক সেশনের পর মিসেস কেলভিন তার প্রিয়তম স্বামীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, কেন সকাল-বিকেল দুইবার এই সেশনটি জরুরি। মিসেস কেলভিন কলেজে পড়ার সময় পরিসংখ্যান এবং বায়োলজি সাবজেক্ট নিয়েছিলেন। কাজেই সেই চেতনা বা জ্ঞান এখন তার খুব কাজে লাগছে। বায়োলজি ও পরিসংখ্যানবিদ্যার সেই জ্ঞান প্রয়োগ করে প্রিয়তম স্বামীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, এই সেশনের সংখ্যা বাড়ানোতে সন্তান পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
সব কিছু বুঝলেও স্বামী ধনের আসলেই এখন আর কিছু করার নেই। আমাদের জাতীয় জীবনের এক-এগারোর মতো তার জীবনেও এক-এগারো সংঘটিত হয়ে গেছে। জেনারেল মইনের তথাকথিত জাতিসঙ্ঘ রিপোর্টটি যেভাবে এই জাতিকে বেকায়দায় ফেলেছিল, সন্তান জন্মদানে তার অক্ষমতার রিপোর্টটি তাকেও একই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।
মি. কেলভিনের স্বামিত্ব আর আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অনুভব একই জায়গায় চাপা পড়ে গেছে। ইন্ডিয়ার সেভেন সিস্টারের জন্য যেদিন রেল ট্রানজিটের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা হয় সে দিন ওপরে বড় করে ব্যানার লেখা হয়Ñ এই সুযোগ আমাদের, এই সুযোগ বাংলাদেশের!
ঘটনা দুটির মধ্যে কী চমৎকার মিল! মি. জন ও মি. মোদিরা সত্যি ভাগ্যবান। চুক্তি করার পর স্বামী বেচারার মাথায় ঢুকেছে, সন্তান পাওয়ার আকাক্সক্ষা কেন স্ত্রীর মধ্যে এমন প্রবল হয়ে পড়েছিল। সরকার ও সরকারবান্ধব মিডিয়ার মধ্যে হঠাৎ যেমন বিভিন্ন চেতনা কাজ করে, একই কিছিমের চেতনা তার স্ত্রীর মধ্যেও কাজ করেছে।
জনগণ যেমন এখন টের পাচ্ছে তারা কিসের চিপায় পড়ে গেছেন। মিস্টার কেলভিনের অবস্থাও হয়েছে হুবহু তাই। আমরা যেমন মতান্ধতায় বুঁদ হয়ে থাকি, তেমনি তার স্ত্রীকে সেশন দিতে মিস্টার জন ঢুকলে তিনিও মদের বোতলে বুঁদ হয়ে থাকেন।
এক মাস, দুই মাস, তিন মাস এভাবে বছর খানেক পেরিয়ে গেছে। এখনো কেলভিন দম্পতির ঘরে সন্তান আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি সঙ্গতকারণেই কেলভিনকে খুবই ক্রোধান্বিত করে তুলে। তার ধারণা, স্ত্রীর ওপর সুযোগ অব্যাহত রাখতে ইচ্ছে করেই জন এ ট্রিকসটি খেলে যাচ্ছেন। ধৈর্যহারা হয়ে তিনি জনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। বিচারক জনের মেডিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে সবার চক্ষু কপালে উঠে যায়। মিস্টার জনও মিস্টার কেলভিনের মতোই সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। কিন্তু যে পাঁচটি সন্তান তিনি জন্ম দিয়েছেন বলে মনে করা হয় সেগুলো কিভাবে সম্ভব হয়েছে? তখন বেরিয়ে আসে, তার বর্তমান স্ত্রী এবং সাবেক গার্লফ্রেন্ড উভয়েই তাকে চিট করেছে।
এখানেও অন্যরা ভোগ করেছে, শুধু বিল উঠেছে তার নামে।

দুই

এমপি লিটনের বড় ভাই জনাব শহীদুল ইসলামকে দেখে কিছুটা চমকে উঠেছি। নিজের পরিচিত কেউ এভাবে হঠাৎ সংবাদ শিরোনাম হয়ে পড়লে অবাক না হয়ে পারা যায় না। শহীদুল ভাই আমার থেকে সাত-আট বছরের সিনিয়র। শিল্পী পরিবারের সদস্য বা একজন মেরিনার হিসেবে উনার সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু উনি যে এমপি লিটনের বড় ভাই, সেটা জানা ছিল না। তার এক কাজিন এবং এক ভায়রা ভাই আমার সাথে ‘সেইল’ করেছে।
শহীদুল ভাই ও সদ্য প্রয়াত লিটনের ছোট বোন কাকলীর নামটিও মনে হয় তাদের কোনো আলাপচারিতায় কানে এসেছিল। কিংবা দুই বোনের ব্যক্ত কথাটি দেশবাসীর মনের কথা হওয়ায় চেনাচেনা লাগছে। লিটনের দল এবং তার সদ্য বিধবা স্ত্রী কোনোরূপ তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই ঘাতক হিসেবে জামায়াত-শিবিরকে সামনে টেনে আনছেন। জনাব লিটনের দলীয় এবং দাম্পত্য হিসাব-নিকাশে একটা ঐকতান লক্ষ করা যাচ্ছে।
কিন্তু লিটনের রক্তের সম্পর্ককে ঘিরে সেই হিসাব-নিকাশটি ভিন্নতর দেখা যাচ্ছে। তার ভাইবোনেরা ভাইয়ের প্রকৃত ঘাতককে খুঁজে বের করতে চাচ্ছেন। বোনের কথায়, ‘খুনি জামায়াত হলে জামায়াত, আওয়ামী লীগ হলে আওয়ামী লীগ, আমি হলে আমি।’ এই বোনটির ইঙ্গিতটি অত্যন্ত স্পষ্ট এবং খুবই প্রণিধানযোগ্য। অপরাধবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানীরাও এ কথাটিকেই বোধ হয় সর্বান্তকরণে সমর্থন করবে। দেশবাসীর মনের কথাও হুবহু এটাই।
ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে মানুষ পশুর চেয়েও অধম হয়ে পড়ে। আমাদের নির্বাচনী এলাকায় একবার এক এমপি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই মারাত্মক অসুখের সংবাদ পেয়ে সেকেন্ড ইন কমান্ড মিষ্টি বিতরণ শুরু করে দেন। অথচ তারা একই মতাদর্শের মানুষ। আমাদের পলিটিক্যাল কালচারের এই নিষ্ঠুরতা মধুর দাম্পত্য জীবনেও হানা দিচ্ছে কি না তাও বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। দাম্পত্য জীবনের টানাপড়েনের সাথে রাজনীতির কুটিল প্যাঁচ যুক্ত হলে এ দেশের কোনো মন্ত্রী-এমপিই নিরাপদ থাকতে পারবেন না।
একটি হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক স্বার্থ কাজ করে থাকতে পারে। কাজেই মূল ঘাতককে ধরতে আমাদের ভাবনাকে সব দিকেই ঘুরাতে হবে। একটি হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য সব বেনিফিশিয়ারিকে সন্দেহের আওতায় রাখলে মূল ঘাতককে শনাক্ত করা সহজ। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে শুধু ‘রাজাকার’ কিংবা জামায়াত-শিবিরকে ফাঁসাতে গিয়ে আমাদের বিবেচনাবোধের বারোটা বাজানো হয়েছে।
কাজেই এক অর্থে এই লিটন হত্যার দায় আমাদের সবার। আমাদের এই মাইন্ড-সেট না বদলালে ভবিষ্যতে আরো অনেক লিটনকে এই দুঃখজনক পরিণতি বরণ করতে হতে পারে। একজন খেলে যদি অন্যজনের নামে বিল উঠে, তখন সেই খাদক তো পারলে পুরো দুনিয়া খেয়ে ফেলতে চাইবে।

তিন .

স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা একটি ঘোরের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। জহির রায়হান নিখোঁজ হয়েছিলেন ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি। কিন্তু তাকেও আলবদর-রাজাকারদের অ্যাকাউন্টে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখানেও খেয়েছে একজন, কিন্তু বিল উঠেছে অন্য আরেকজনের নামে। ৫০ বছর পার হলেও বিষয়টি নিয়ে মুক্ত গবেষণার দুয়ার এখনও উন্মুক্ত হয়নি। দিন দিন তা যেন আরো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে যিনিই মুক্তভাবে কিছু বলতে চাইবেন, তিনিও রাজাকার হয়ে যাবেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল নিয়াজি তার সব বাহিনীসহ আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেনারেল নিয়াজির আত্মসমর্পণের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের অন্য কোনো জেনারেল বা ওয়্যার লর্ড যুদ্ধ চালিয়ে যাননি। সেই আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের দেড় মাস পর এ দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মধ্যে কোথাও এক বর্গফুট জায়গাও পাকিস্তান বাহিনী বা তাদের সহযোগীদের আর নিয়ন্ত্রণে ছিল না। বিহারি এবং রাজাকার বাহিনীর জন্য তখন বলতে গেলে ‘রোজ কেয়ামত’ শুরু হয়ে গেছে।
সারা দেশ তথা রাজধানী ঢাকার প্রতিটি গলি ইন্ডিয়ান বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল। ঢাকার অবিচ্ছেদ্য অংশ এ মিরপুর কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছিল না। পাকিস্তানের কমান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো ওয়্যার লর্ড যদি তখনো মিরপুর এলাকার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখত তবে সেই ভয়ঙ্কর সাহসী ব্যক্তির নাম আজ সবারই জানা থাকত।
জহির রায়হান সংবাদ সম্মেলন করে হুমকি দিয়েছিলেন, কলকাতায় যুদ্ধের সময়ে অবস্থানরত হোমরাচোমরাদের গোপন কীর্তিকলাপ প্রকাশ করে দেয়ার। বটম লাইনে একটা কথাই বলতে হয়, যত কঠিন শোনাক না কেন, আমাদের কিছু অপ্রিয় সত্য উচ্চারণ করতেই হবে। তা না হলে অন্যের অ্যাকাউন্টে এ জহির রায়হান থেকে আজকের লিটনরা খরচ হতেই থাকবেন। সাথে সাথে বোন কাকলীদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বাড়তেই থাকবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হলো একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে বেঁচে থাকতে এই লিটনরাই হয়ে পড়েন সবচেয়ে বড় বাধা।

1 COMMENT

Comments are closed.