৯ মামলায় জামিন : তবে মুক্তি মিলছে না ফখরুলের

তবে মুক্তি মিলছে না ফখরুলেরছবি: ফাইল

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার ৯ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালত বুধবার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে অন্য একটি মামলায় এদিন উচ্চ আদালতে জামিন পাননি তিনি। এ ছাড়া আরও এক মামলায় তাঁর জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায় থাকায় এখনই তিনি কারামুক্ত হচ্ছেন না।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ সমকালকে বলেন, নাশকতার অভিযোগে ৯ মামলায় জামিন হলেও রমনা ও পল্টন থানার আরও দুই মামলায় তাঁর জামিন আবেদন শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ আছে। দ্রুতই মামলাগুলোয় জামিন পেয়ে মির্জা ফখরুল কারামুক্ত হবেন বলে আশা করেন তিনি।

বুধবার মহানগর হাকিম আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে মো. আসাদুজ্জামান, মোহসিন মিয়াসহ আইনজীবীরা জামিন চেয়ে অধিকতর শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে রমনার তিন ও পল্টন থানার ছয় মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই ৯ মামলায় জামিন আবেদনের ওপর ফখরুলের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী গত মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পাশাপাশি অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীর সংঘর্ষ ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। পরদিন সকালে মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এর পর জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

হাইকোর্টে জামিন মেলেনি

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গতকাল বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন দেননি এবং জারি করা রুল খারিজ করে এ রায় দেন। আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।

এদিন হাইকোর্টে এসেছিলেন মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও ছোট মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি। আদালতের রায়ের পর সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ছবি তুলতে গেলে রাহাত আরা আপত্তি জানান। পরে তারা জজকোর্টের দিকে যান।

সমকাল