ছবি- সংগৃহীত
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ জনগণ রুখে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটের নেতারা বলেছেন, ‘আমরা আর মামুরা’ নির্বাচনের এই খেলাতেও সন্ত্রাস চলছে। নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছে, কুপিয়ে হত্যা করছে। ইতোমধ্যে দেশের ৪৮টি জায়গায় সহিংসতায় দুজন মারা গেছে। নির্বাচনের আগে আর কত রক্তক্ষয় হবে তা বলা মুশকিল। বিরোধীদল মাঠে থাকলে কী পরিস্থিতি হতো সেটা সহজেই অনুমেয়।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, গত ১৫ বছরে শুধুমাত্র আমদানি রপ্তানির ভেতর দিয়ে ১২ থেকে ১৫ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। উন্নয়ন প্রকল্প যা হয়েছে তার প্রায় বিরাট অংশ লুট হয়ে গেছে। শুধু ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে। আর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ কোটি টাকা। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্যই তারা এভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। এই লুটতন্ত্র বন্ধ করতে হলে ৭ জানুয়ারির তামাশার ভোট বন্ধ করতে হবে।
তারা আরও বলেন, যদি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয় তার ফলাফল কী হবে তা সবার জানা। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তাও সকলের জানা। বিরোধী দল কে হবে তাও সবাই আগাম জানেন। তাহলে এই নির্বাচনের দরকার কী? দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করা? এটা অপচয়। রাষ্ট্রীয় পয়সা অবচয় করা পরিষ্কার অপরাধ।
‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
সমকাল