- by খেলাধুলা প্রতিবেদক
৩৪৮ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ নিয়েও তা আগলে রাখতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। লাহোরে বৃহস্পতিবার রাতে অজিদের ছুঁড়ে দেওয়া হিমালয় পাকিস্তান ডিঙিয়ে যায় এক ওভার ও ছয় উইকেট হাতে রেখেই। প্রায় সাত শ’ রানের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজিন। ম্যাচ শেষে ঝড় উঠেছে রেকর্ড বইয়ে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ওয়ানডের উল্লেখযোগ্য রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান পৌঁছে যায় ছয় বল ও উইকেট হাতে রেখেই। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ২০১৪ এশিয়া কাপে মিরপুরে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ৩২৬ রানের পাহাড় পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড হলেও ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বজনিন রেকর্ডে এটা দশম সেরা জয়। যার পাঁচটিই অবশ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ পাকিস্তানের (৩৪৯/৪)।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১৪ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাবর আজম। ওয়ানডেতে এটা পাকিস্তান অধিনায়কের ১৫তম শতক। সবচেয়ে কম ইনিংসে ১৫তম সেঞ্চুরির মাইলফলক ছোঁয়ার রেকর্ড গড়েছেন বাবর। ৮৩তম ইনিংসে এই অর্জন হলো তার। তিন ইনিংস বেশি খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা।
এই সংস্করণে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সেঞ্চুরি করেছেন কিংবদন্তি ওপেনার সাঈদ আনোয়ার। মোহাম্মদ ইউসুফ ১৫টি শতক হাঁকিয়ে অবসরে চলে যান। গতকাল পূর্বসুরি ইউসুফের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন বাবর। বাবরের ১৫টি শতকের পাঁচটিই এসেছে রান তাড়ায়। দ্বিতীয় ইনিংসে দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ ১০টি সেঞ্চুরি করেছিলেন আনোয়ার।
শুরুর দুই জুটিতেই সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। সবশেষ ২০১৯ সালে নটিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমনটা করতে পেরেছিল পাকিস্তান।
এনিয়ে দ্বিতীয়বার সফল রান তাড়ায় একই ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার। বাবর আজম এবং ইমাম-উল-হকের আগে ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ২৭৩ রান তাড়ায় শতক হাঁকিয়েছিলেন নাভেদ লতিফ এবং ইনজামাম-উল-হক। দ্বিতীয়ঝন অবশ্য পাকিস্তানের বর্তমান ওপেনার ইমামের চাচা।
লাহোরে দুই ইনিংস মিলিয়ে রান হয়েছে ৬৯৭। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের মাটিতে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রানের রেকর্ড এটা। ২০১৫ সালে এই মাঠেই ৭০৯ রান করেছিল পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে।
লাহারে দুই দলের স্পিনাররা ৪২ ওভারে রান দিয়েছেন গড়ে ৭.৫০। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে স্পিনারদের জন্য এটা দ্বিতীয়তম বাজে ম্যাচ (অন্তত ২৫০ বলের হিসেবে)। ২০০৫ সালে ভারত-পাকিস্তান মহারণে স্পিনাররা ওভার প্রতি হজম করেন ৭.৬৫ রান।