
গত ৫৩ বছরে আমাদের দেশে সুষ্ঠু ধারার কোনো রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্ররা জীবন দিয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল এ দেশকে সুন্দরভাবে সাজানো। কিন্তু দুঃখের মধ্যে বলতে হয় আজকে স্বার্থন্বেসী মহল ক্ষমতা রয়েছে। তারা পিআর বোঝে না।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব কথা বলেন তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, অনেক দেশ পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের মাধ্যমে সুন্দর একটা দেশ করার প্রক্রিয়ায় আগাচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পরিষ্কারভাবে বলছি, সংস্কার করবেন, খুনিদের বিচার দৃশ্যমান করবেন, তারপরে আপনার জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। এখন পর্যন্ত মৌলিক সংস্কার আমরা দেখছি না। এরপরে আমরা দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখি নাই। এটা দৃশ্যমান করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমেই খুনি তৈরি হয়েছে, গণঅসন্তোষ তৈরি হয়েছে, আমাদের দেশের টাকা পাচার হয়েছে। এই নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। এজন্যে আমরা পরিষ্কার বলছি যে, আমরা এ দেশের সন্তান, ভালো-মন্দ নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব আমাদের রয়েছে। আপনারা যেনতেন একটা নির্বাচন করবেন, এটা আমরা মুখ থাকতে বলা বন্ধ করবো না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমির বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে মতামত চেয়েছিল সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক)। সেখানে ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছে। সিংহভাগ রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। এখানে চায় না কারা, এরা কি দেশের স্বার্থে, না ব্যক্তি না দলের স্বার্থে, এটা কিন্তু আমরা জেনে ফেলেছি। যদি আপনারা নাই চান আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, বাংলাদেশের জনগণের কাছে মতামতের জন্য পাঠিয়ে দেন।
অন্তর্ভুক্তকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব আমরা সেই কালো টাকার দৌরাত্ম্য আর এই পেশি শক্তির তাণ্ডব, আর দিনের ভোট রাতে, আমাদের সন্তানদের পঙ্গু করবেন, আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে, আমরা এই পদ্ধতির নির্বাচন আমরা চাই না। হতে দেব না ইনশাআল্লাহ।
ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুর। এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিত ছিলেন।