ঢাকা
ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। তবে এই আয় গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলারের আয় পাঠিয়েছিলেন। ওই সময়ে করোনায় বিপর্যস্ত ছিল পুরো বিশ্ব। এখন সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপ থাকলেও আতঙ্ক অনেকটা কেটে গেছে। এরপরও প্রবাসী আয় এত কমে যাওয়ায় ব্যাংকাররা চিন্তিত।
ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসী আয়ে সরকার একসময় ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিত। গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রণোদনার হার বেড়ে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। নগদ প্রণোদনা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসীরা জানুয়ারি মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে তা আবার কমে গেল।
জানা যায়, জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার পাঠান—বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে)। এক মাসের ব্যবধানে প্রবাসী আয় এক হাজার কোটি টাকার বেশি কমেছে, যদিও ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে। তা সত্ত্বেও আয় হ্রাসের হার অনেক বেশি।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের বিপরীতে এখন আগের চেয়ে বেশি হারে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আগে প্রবাসীরা অর্থ পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হতো। ১ জানুয়ারি থেকে প্রণোদনা বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়। এরপরও আয় কমে যাওয়া চিন্তার বিষয়। খোলাবাজারে ডলারের দাম ৯০ টাকা হওয়ায় এখন অবৈধ পথে আয় বেশি আসছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ব্যাংকার। এ জন্য অবৈধ পথ বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ করা প্রয়োজন।
কোভিডের মধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবাসী আয় বেশি আসার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা বলেন, সেই সময় প্রবাসী আয় আসার অবৈধ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৈধ পথে আসা বেড়ে যায়। সে কারণে সরকারি পরিসংখ্যানে তা অনেক বেশি দেখা যায়, যদিও বাস্তবে হয়তো প্রবাসী আয় বেশি আসেনি।