- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৩:৪২, আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৭:১৪
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন লিটন-ইয়াসির। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে হাসপাতালে যান ইয়াসির আলি। এর পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের লিড ২০১।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দশার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। দলীয় ১৪ রানে হারায় দুই উইকেট। এরপর দিনশেষে সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৯ রান থাকলেও দিনের শুরুতে মুশফিককে হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটে ছিলেন লিটন-ইয়াসির। তাদেরকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ইয়াসিনের রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পরে লিটন ৫৯ রান করলেও আর কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। লিটন আউট হওয়ার পরে কোনো রান ছাড়াই আউট হন তাইজুল, জায়েদ ও এবাদত।
এর আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ বলে এক রান করে শাহিনের বলে বিদায় নেন ওপেনার সাদমান। পরের বলেই আউট নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। দলীয় ১৫ রানে ডাক মারেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। হাসান আলীর বলে তিনি ক্যাচ দেন আজহারের কাছে।
প্রথম ইনিংসে বাজে খেলা সাইফ হাসান থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি। ৩৪ বলে ১৮ রানে শাহিনের বলে তার কাছেই ক্যাচ দেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চারের মার।
সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে মুশফিক ও অভিষিক্ত ইয়াসির আলী দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। দিন শেষে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। ১২ রানে মুশফিক ও ৮ রানে ইয়াসির আলী অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। রোববার তৃতীয় দিনের খেলায় তাইজুলের বোলিং ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। তাইজুল ইসলাম তুলে নেন ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ৪৪।
রোববার দিনের প্রথম সেশনে ৩১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫৮ রানেই পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে তাইজুল তুলে নেন আরো ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে তাইজুলের শিকার ৭ উইকেট। অন্য উইকেট দুটি নিয়েছেনে এবাদত হোসেন।
রোববার মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২০৩ রান। সেঞ্চুরিয়ান আবিদ ১২৭ ও ছয় নম্বরে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাট হাতে পাকিস্তান করে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান। তার আগে ব্যাট হাতে দাপট দেখানো বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩৩০ রানে।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৫৩ রান। ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীম। দুজনই হতাশ করেন এদিন। সেঞ্চুরি বঞ্চিত মুশফিক। আগের দিন ১১৩ রানে অপরাজিত থাকা লিটন এদিন যোগ করতে পারেন মাত্র ১ রান।
বাকি ছয় উইকেটে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ৭৭ রান। ৬৮ বলে মেহেদী মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৩৮ রান। তার ব্যাটেই বলতে গেলে তিন শ’ রান অতিক্রম করতে পারে স্বাগতিকরা।
জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে দিন পার করে পাকিস্তান। ৫৭ ওভারেও একটি উইকেট আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও আলো স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই হয় খেলা শেষ। পাকিস্তানের হয়ে আবিদ আলী আছেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকেন। ১৮০ বলে তিনি অপরাজিত ৯৩ রানে। ১৬২ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক।