রাজধানী ঢাকায় বাতাসের গুণ-মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ২৬তম স্থানে রয়েছে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল তালিকায় ঢাকা পঞ্চম অবস্থানে ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৭৫।
৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘স্বাভাবিক’ বলা হয়। তবে এমন পরিস্থিতিও কিছু মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ুদূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
রাশিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক, ভারতের দিল্লি ও চীনের চেংডু যথাক্রমে একিউআই ১৮২, ১৬৮ ও ১৬০ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম ৩ স্থান দখল করেছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫ ধরনকে ভিত্তি করে: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩ প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ প্রকল্পের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।