১৬ এমপির পথের কাঁটা আ’লীগেরই ৯০ নেতা

ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনের দিনক্ষণ। চট্টগ্রামে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আনাগোনাও তাই বেড়েছে নির্বাচনী এলাকায়। বিদেশি চাপ থাকলেও আওয়ামী লীগের অধীনেই হতে যাচ্ছে আগামী নির্বাচন– এমন সমীকরণ মাথায় নিয়েই নিজ নিজ এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নির্বাচন ঘিরে তাই আওয়ামী শিবিরে বইছে ‘বসন্তের বাতাস’। নৌকার টিকিট পেতে এবার আগ্রহও দেখাচ্ছেন রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান এমপিদের নিজ দলেই এবার মোকাবিলা করতে হবে কঠিন বাধা। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এখন যারা এমপি আছেন, তাদের মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের। অন্য দু’জন এমপিও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনপুষ্ট শরিক দল জাপা ও তরীকত ফেডারেশনের। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বর্তমান এমপিদের সবাই। কিন্তু তাদের পথে এবার ‘কাঁটা’ হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই আরও ৯০ নেতা। বর্তমান এমপিরা তাই যোগাযোগ বাড়িয়েছেন এলাকায়। আর নতুনরা দৌড়ঝাঁপ করছেন কেন্দ্রে।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে নগরে আসন রয়েছে চারটি। এখানে সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন ২৫ জন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাতটি আসনে আগ্রহী প্রার্থী আছেন ৪০ জন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন অন্তত ২৫ জন। নতুন এসব প্রার্থী এবার চ্যালেঞ্জ জানাতে চান বর্তমান এমপিদের। মনোনয়ন পেতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবেন তারা।

আওয়ামী লীগে এত বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী

থাকা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী সমকালকে বলেন, আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এ কারণে তাদের দলে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। আগে থেকে যারা এমপি আছেন, তারা কেউ পদ ছাড়বেন না। আবার নতুন করে যারা এলাকায় পরিচিত হয়েছেন, তারাও এমপি হতে চাচ্ছেন। এ কারণে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা এতটা বেশি।

মহানগরের চার আসনের দাবিদার ২৫ জন

চট্টগ্রাম মহানগরের চারটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকবেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনে। এ আসনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে উপনির্বাচন। তখনও রেকর্ড পরিমাণ প্রার্থী ছিলেন এ আসনে। বর্তমান এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন নিয়মিত। তার পরও আগামী নির্বাচনে এ আসনে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হবে। মাস তিনেক আগে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে এমপি পদে মনোনয়ন চান নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন, চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) ইমদাদুল ইসলাম ও শ্রমিক লীগ নেতা সফর আলী। তরুণ প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন চান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল আমিন, প্রয়াত এমপি আফছারুল আমীনের ছেলে ফয়সাল আমীন, প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা এমএ আজিজের ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমুখ। সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গতবার মনোনয়নপত্র না নিলেও এখন আবার আলোচনায় আছেন।

বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কিংবা আব্দুল্লাহ আল নোমান যদি এখান থেকে নির্বাচন করেন, তাহলে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদল হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনের বর্তমান এমপি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিনের চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ আসনে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের বর্তমান এমপি এমএ লতিফ। তাঁর আসনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু। তারা গত তিন সংসদ নির্বাচনেই এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় নতুন করে শোনা যাচ্ছে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের নামও।

চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে বর্তমান এমপি নোমান আল মাহমুদ। চলতি বছর উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এমপি হন তিনি। বিএনপি নির্বাচনে এলে এ আসনেও প্রার্থী বদল হতে পারে। এ আসনে গত তিনটি নির্বাচনেই মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। মনোনয়নপত্র না নিলেও এখানে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। জাসদের কার্যকরী সভাপতি প্রয়াত মইনউদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামও আছেন আলোচনায়।

উত্তর জেলার সাত এমপির পথে বাধা যারা

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বর্তমান এমপি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন। তিনি যদি নির্বাচন করেন তাহলে অন্যদের সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকবে কম। কিন্তু বয়সজনিত কারণে তিনি যদি এবার নির্বাচন না করেন, তাহলে প্রার্থী হিসেবে চাইবেন ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেলকে। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শদ এলিট এবং এসএসএফ ও এনএসআইর সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামছুল আলম চৌধুরী ওরফে শামস চৌধুরী। মহাজোটের হয়ে এখানে নির্বাচন করতে আগ্রহী সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়াও।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে তরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বর্তমান সংসদ সদস্য। কিন্তু এ আসনে চোখ রেখেছেন আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, ফটিকছড়ির প্রয়াত সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ারও। নবগঠিত দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহজাদা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীও এখান থেকে মনোনয়ন চাইবেন নৌকার।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের বর্তমান এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলাউদ্দিন বেদন ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন মিশনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। কিন্তু দলের একটি বড় অংশের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে মিতার। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এখানে একাট্টা হতে পারেন অন্তত এক ডজন নেতা। তাদের মধ্যে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক পৌর প্রশাসক রফিকুল ইসলাম রয়েছেন। আছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবদুল কাদের, সাবেক মেয়র জাফর উল্লাহ টিটু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিবুল আহসান সুমন ও উত্তর জেলা যুবলীগ সহসভাপতি মিজানুর রহমানও।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের বর্তমান এমপি দিদারুল আলম। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বাকের ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। আলোচনায় রয়েছেন প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর ও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ এমরান।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংসদ সদস্য। তবে তাঁর বাড়া ভাতে ছাই দিতে এবার উঠেপড়ে লেগেছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম। আছেন উত্তর জেলার নির্বাহী সদস্য ইউনুস গনি চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বর্তমান এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এবারও মনোনয়ন চাইবেন। টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায় কিছুটা নির্ভার আছেন তিনি। তার পরও তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুসলিম খান, উত্তর জেলার যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত ও আবুল কালাম আজাদ।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কোনো বিরোধ নেই। এখানে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যাও তুলনামূলক কম। তিনি টানা তিনবার এ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ দক্ষিণের ৫ আসনে 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পাঁচটি আসনে বর্তমান এমপিদের নিজ দলেই পড়তে হবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বর্তমান এমপি সামশুল হক চৌধুরী। টানা তিনবার নির্বাচিত এই এমপি জাতীয় সংসদে এখন হুইপ হিসেবেও কর্মরত। তবে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বদিউল আলম।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে বর্তমান এমপি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন তিনি। তাঁর আসনে দলের শক্ত কোনো প্রার্থী নেই। তাঁর পরও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে সংরক্ষিত আসনের এমপি ওয়াসিকা আয়েশা খানের নাম।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী ও সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন আহমদের ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসিফ।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বর্তমান এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কোমর বেঁধে নেমেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। কিন্তু তাঁকে এবার মোকাবিলা করতে হবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মজিবুর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল্লাহ কবির লিটনের সঙ্গে।

যা বলছেন দলের তিন শীর্ষ নেতা

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন রাজনৈতিক দল। এখানে প্রতিযোগী বেশি থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। যে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখাতে পারেন। তবে দলীয় সভাপতিই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম বলেন, নানা কারণে আওয়ামী লীগে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। দল টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এর মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দেশের আনাচে-কানাচে। এর সুফল দৃশ্যমান হওয়ায় আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি।

তবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে বেড়েছে। বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির রুগ্‌ণ দশা আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়িয়েছে। এ কারণে নৌকার টিকিটে নির্বাচন করতে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি।

সমকাল