অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছি। আজকে তারা ভালো মানুষ সাজছে। মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকায় কিছু আছড় লেগেছে। নাহলে এত ভালো মানুষ আজ কী করে হয়ে গেল।’ গতকাল তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কোনো পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হবে না। কিছুই দেওয়া হবে না।
এই সরকারের সময় শেষ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যত দ্রুত শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এখান থেকে তারা চলে যাবে অথবা মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে দেশে থাকবে, তত ভালো। তা না হলে জনগণ প্রস্তুত হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতনের বার্তা বিএনপি আটটি সমাবেশে দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আমাদের সমাবেশ থেকে এই সরকারের বিদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
স্থানীয় রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সংসদের কাজেও নিষ্ক্রিয় ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তাঁর সম্পর্কে বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তিনি সংসদেও নাই, এলাকাতেও নাই, দেশেও নাই। ওই যে ফরিদপুরের ছাত্রলীগের এক নেতা দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেটা কী তাঁর (সেই ছাত্রলীগ নেতা) টাকা? এই যে দুর্নীতি, তাঁর বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১২ বছর ধরে বলছি। আমরা যখন দুর্নীতির কথা বলি, তারা বলে এটা অপপ্রচার।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান (দুদু), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী, এসএওয়াইআরসির চেয়ারম্যান সুমন হক।