- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৭:১০
আগামী ১০ ডিসেম্বর জনসমাবেশ মূলত জনস্বার্থের সমাবেশ বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এটি হরণ হওয়া গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সমাবেশ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি, পানির দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি; সব মিলিয়ে যেন নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এর প্রতিবাদে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।’
রিজভী বলেন, দুর্ভোগ সরকারের সৃষ্টি। সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলন করে আসছে। দেশের ১০টি বিভাগের ভিতর ৮টিতে বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে; এরপর ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বর্তমান গণবিরোধী সরকার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। যেটা তাদের চিরচেনা অভ্যাস। সেই পুরনো গায়েবি মামলা ও নিজেরাই ষড়যন্ত্র করে ককটেল বিস্ফোরণ করে, গাড়ি ভাঙচুর করে, আবার ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি তবুও মিথ্যে মামলা দেয়া হচ্ছে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীর নামে। যারা এলাকায় নেই তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। এই মিথ্যা মামলাগুলো দেয়ার উদ্দেশ্য আগের মতো জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা। এটি দূরসন্ধিমূলক চক্রান্ত এবং ঘৃণ্য মাস্টারপ্ল্যান।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র লুণ্ঠনের জন্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন না করার জন্য তারা পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। এগুলোকে ঢাকা দেয়ার জন্যই বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া ও ঘরছাড়া করতেছে। কিন্তু তাদের দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসা চন্দ্রনীতি যখন দেখছে তারা সফল হচ্ছে না। বিএনপির কোনো সমাবেশের জনস্রোতের থামানো যাচ্ছে না। তখন তারা মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, গতকাল আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমদ অসীম তার ধানমন্ডির বাসায় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করছিলেন; তখন পুলিশ অতর্কিতভাবে তার বাসায় হামলা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। জামালপুর জেলার মেলান্দহ বিএনপির নেতা আমিরুল ইসলাম রেনু ও আব্দুল আজিজ ও মো: নবীনসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুমন মিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। বরিশালের ভোলায় চরফ্যাশন উপজেলার যুবদল ও চরফ্যাশন পৌর যুবদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নৃশংস হামলায় চালিয়েছে। সেখানকার এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে এলাকা থেকে পালিয়েছে। হামলায় চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম প্রিন্স ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফ ফরাজীসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।
রাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বসায় বাসায় হামলা দেয়ার উদ্দেশ্যই হচ্ছে আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ যেন গণজমায়েত না হয়। কিন্তু ঢাকার সমাবেশে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সাফল্যমণ্ডিত হবে। জনস্রোত নামবে ঢাকায়। গণসমাবেশ নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।