হোজ্জার বিড়ালশাবক আর আরাফাতের রাজাকার শাবক
একবার নাসিরুদ্দীন হোজ্জা এক কেজি গোশত এনে স্ত্রীকে রাঁধতে দিয়ে বাড়ি থেকে বেশ দূরে একটা নদী থেকে গোসল সেরে আসেন । ফুরফুরে মেজাজে মজা করে খাবেন আজ। খেতে বসে গোশতের ডিশ না দেখে প্রশ্ন করেন , গোশত কোথায় ?
স্ত্রী সামনের বিড়াল শাবককে দেখিয়ে বলেন , এই বিড়ালে সব গোশত খেয়ে ফেলেছে । তখন নাসিরুদ্দীন হোজ্জা ঐ বিড়ালটিকে নিক্তিতে বসিয়ে মাপেন । মেপে দেখেন ঐ বিড়াল শাবকের ওজনও সর্ব সাকুল্যে এক কেজি । তখন স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন , এটাই যদি পুরো বিড়াল শাবক হয় তবে এক কেজি গোশত কোথায় গেল ? আর এটা যদি এক কেজি গোশত হয় , তবে বিড়াল শাবকটি গেলো কোথায় ?
হোজ্জার স্ত্রী হোজ্জাকে যেমন বেকুব ভেবেছিল তার চেয়েও বড় বেকুব ভেবেছে মোহাম্মদ এ. আরাফাতগণ এদেশের জনগণকে ।
একজন টিভি অভিনেত্রীর স্বামী হিসাবে লাইম লাইটে আসেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ এ. আরাফাত । এরপর অনলাইন এবং অফলাইনে বিশেষ কিছিমে রাজাকার শাবক তাড়িয়ে তিনি ইতোমধ্যে গুণীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন । তাঁর মতের সাথে না মিললেই যে কাউকে রাজাকার শাবক ডেকে নিজের পেইজে ব্লক মেরে দেন । এই ব্লক মারাকে আবার তিনি নিজের মতই সশব্দে সেলিব্রেট করেন । একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের এই মানের বুদ্ধিবৃত্তিক উচ্চতা অনেককেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে । তার একটা বিশেষ পারদর্শিতা -যে কোনো বিষয়েই বক বক করে যেতে পারেন ।
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের জন্যে গড়ে ওঠা আন্দোলনেও তিনি রাজাকার শাবকদের বাছাই করতে লেগে গেছেন । নাসিরুদ্দীন হোজ্জার স্ত্রীর বিড়াল শাবক এবং গোশতের মতই আরাফাত সাহেব সাধারণ ছাত্র ছাত্রী আর কথিত রাজাকার শাবকদের মধ্যে একটি পার্থক্য টানতে চেয়েছেন । আরাফাত সাহেবরা যতই কাঁশি দিয়ে অনাকাঙ্খিত
কোনো শব্দ ঢাকতে চাচ্ছেন ততই তা স্পষ্ট হয়ে পড়ছে ।
দেশের মানুষের কাছে প্রকৃত ঘটনা দিবালোকের মতই স্পষ্ট হয়ে গেছে । ডিজিটাল এই জমানায় প্রতিটা ধাপের ভিডিও রেকর্ডিং অনলাইনে ছড়িয়ে আছে । এশারা দেশের সাধারণ ছাত্র ছাত্রীকে কেমন আতংকগ্রস্ত করে তুলেছিল , তার অডিও রেকর্ডিং ও তা তুলে ধরেছে । আরাফাত সাহেবদের অনেক লেফ রাইট সত্ত্বেও জনগণ তাদের ছয়টি ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে আসল ঘটনাটি বুঝে নিয়েছে ।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিল । সেই প্রতিরোধের সম্মুখেই এশাদের ত্রাসের রাজত্ব খসে পড়ে । পরিস্থিতি সামাল দিতেই তখন এশাকে ছাত্রলীগ, হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয় । এখন ঠান্ডা হলে এই আরাফাত সাহেবদের দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
নৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানে থাকা কারো পক্ষে সঙ্গী সাথীরা দাঁড়ানোর সাহস করে না । সেটা সম্ভব হলে প্রচন্ড দাপুটে এশা নিজের হলেই এভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার কথা ছিল না । নিজের হলে বা সাম্রাজ্যে তিনি কতটুকু দাপুটে ছিলেন , তা তার ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ড থেকেই আঁচ করা গেছে । নারী হয়েও বাল, নাটক চুদাও প্রমুখ স্ল্যাং শব্দগুলো অত্যন্ত সাবলীল ভাবে উচ্চারণ করে গেছেন এই লীগ নেত্রী ।
এখন শাক দিয়ে মাছ না ঢেকে এশার এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলেই উত্তম হতো । এই সব বদরুল এবং লেডি বদরুলদের দিকে জনগণের ক্ষোভ যেকোনো মূহুর্তে ধপ করে জ্বলে উঠতে পারে- এশার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে তাই দেখিয়ে দিয়েছে ।