হিলি বন্দরে বেড়েছে ভারতীয় চালের আমদানি, কমছে দাম

logo

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হিলি বন্দরে বেড়েছে ভারতীয় চালের আমদানি
হিলি বন্দরে বেড়েছে ভারতীয় চালের আমদানি |সংগৃহীত

সরকার আমদানিতে অনুমতি দেয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল দেশে চাল আমদানি। প্রথমদিকে চালের শুল্ককর নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা থাকলেও তা নিরসন হওয়ায় গত নয় দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার টন চালের চালান দেশে পৌঁছেছে। ফলে বন্দরের মোকামে কেজিতে অন্তত দুই থেকে তিন টাকা কমে পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের প্রসিদ্ধ চাল আমদানিকারক ললিত কেশরা জানান, দেশে চালের বাজারে দামের অস্থিরতা ঠেকাতে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার আগে থেকেই চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ভালো দিক। এ অবস্থায় আমরা চাল আমদানিকারকরা হিলি বন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে চাল আমদানি করছি। প্রতিদিনই আমদানি বাড়ছে। যাতে চালের দাম না বাড়ে। চাল আমদানি করার ফলে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা করে দাম কমে গেছে।

এদিকে ভারত থেকে যেসব জাতের চাল আসছে তার মধ্যে রয়েছে, স্বর্না, সম্পা কাটারি, রত্মা ও মিনিকেটসহ বিভিন্ন জাতের চাল।

বন্দরের আরেক আমদানিকারক রনি জানান, ব্যাপক আকারে চাল আমদানির খবরে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা আসছেন। দরকষাকষি করে তারা চাল কিনছেন।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বন্দরের মোকামে ভালো মানের চিকন চাল কেজিতে তিন টাকা কমে ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া আঠাশ জাতের চাল ৫৪-৫৫ টাকা আর স্বর্না জাতের চাল ৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।’

উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জায়গা থেকে আসা কয়েকজন পাইকার জানান, দাম নাগালের মধ্যে আছে। গত তিন-চার দিন আগে যে দামে চাল কিনেছি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই চাল কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা করে কমে কিনেছি। প্রতিদিন আমদানি হওয়ায় বন্দরে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। আশা করছি, আরো দাম কমে আসবে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হচ্ছে। দীর্ঘ চার মাস দেশে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সরকার আবারো অনুমতি দেয়ায় এ বন্দরের মাধ্যমে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।

এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা (আর ও) মো: নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে হিলি বন্দর ব্যবহার করে আমদানিকারকরা ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন। এই পর্যন্ত ৩৩২টি ভারতীয় ট্রাকে সাড়ে ১৪ হাজার টন নন-বাসমতি চাল আমদানি করা হয়েছে। চাল আমদানি শুরু হওয়ার তিন-চার দিন কাস্টমসের সার্ভারে বর্তমান দু’ শতাংশ শুল্ককরের বিষয়টি আপলোড না হওয়ায় আগের ৬৩ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক দেখাচ্ছিল। পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে চালের ওপর দু’ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পরিপত্র জারি করে। ফলে দু’ শতাংশ শুল্কে দেশে চাল আমদানি হচ্ছে। ইউএনবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here