
‘হাসিনার কলরেকর্ড ট্রাইব্যুনালে‘ নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।
এ সংবাদে বলা হয়েছে, জুলাই-অগাস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় পরিচালিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরো দুই মাস সময় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ২০শে এপ্রিলের মধ্যে তার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনও ওইদিনের মধ্যেই দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
শুনানির এক পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “কে কী করেছে সেটি আমাদের কাছে আছে। কেরামুন কাতেবিন যেভাবে সব কিছুর রেকর্ড করেন, সেভাবে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট আমাদের হাতে রয়েছে।”

‘ছয় মাসে আমানত বৃদ্ধি পরিমাণে কমেছে ৪২ শতাংশ’ বণিক বার্তা পত্রিকার শিরোনাম।
দেশের ব্যাংক খাতে মেয়াদি আমানতের সুদহার এখন ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। আমানতের এত উচ্চ সুদ গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।
তবে উচ্চ এ সুদহারও এখন আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। গত অর্থবছরের তুলনায় আমানতের প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছিল ৫৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা।
আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বেড়েছে ৩৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে আমানত বৃদ্ধির পরিমাণ কমেছে প্রায় ৪২ শতাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নয়টি বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ধার দেয়া হয়েছে নতুন টাকা ছাপিয়ে।
আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির আওতায় জোগান দেয়া হয়েছে আরও সাত হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
তারল্য সহায়তা হিসাবে দেয়া এসব অর্থ দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানত হিসাবে যুক্ত হয়েছে।
অর্থাৎ, দেশের ব্যাংক খাতে যে পরিমাণ আমানত বেড়েছে, সেটি দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেয়া আমানতের চেয়েও কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোগান দেয়া অর্থও গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।