জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘নেতিবাচক প্রচারণায় যারা মগ্ন আছেন, এমন হায় হায় পার্টির নাই নাই আহাজারিতে ভয়ের কিছু নেই।’
আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হুইপ বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু হতাশ রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের কয়েকজন আছেন যারা কোনো কিছুতেই দেশের মঙ্গল দেখতে পান না। তারা সবসময় শুধু নেতিবাচক প্রচারণায় মগ্ন থাকেন। তাদের হায় হায় পার্টি বলা হয়। হায় হায় পার্টির নাই নাই আহাজারিতে ভয়ের কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘কিছু দিন আগে তারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে অর্থনীতিতে অরাজকতা এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে সফল হতে পারেননি। এখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে বর্ধিত আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর কিছুটা চাপ পড়ার পর তারা আবার হায় হায় নাই নাই রোগাক্রান্ত হয়েছেন।’
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন বলেন, ‘২০০৬ সালে জামাত- বিএনপি আমলের শেষ দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬ বিলিয়নের নিচে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নেওয়ার সময় রিজার্ভ ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন। এরপর ২০১০ সালে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন অতিক্রম করে, ২০১৪ সালে ২০, ২০১৬ সালে ৩০, ২০১৯ সালে ৩৩ এবং ২০২২ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ হয়।’
‘বর্ধিত আমদানি ব্যয়ের চাপ সামলাতে আপাতত রিজার্ভ ৪০ বিলিয়নের সামান্য নিচে দাঁড়িয়েছে। এখনো রিজার্ভ জামাত-বিএনপির মতো ৬ বা সুশীল তত্ত্বাবধায়ক আমলের মতো ৭ বিলিয়ন থেকে যোজন-যোজন উপরে অবস্থান করছে। এ সময়ে আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলার বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশি শাখা ব্যাংকে গচ্ছিত এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির কাছে পাওনা আছে। সুতরাং হায় হায় পার্টির নাই নাই বিলাপ এবারও উন্নয়ন ও মানব কল্যাণের সুবাতাসে হারিয়ে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
আজ সকালে পেকুয়া কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।