মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবুল কাশেম ও এমএ হান্নানসহ অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে, যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। আর কারো কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার।’
তিনি বলেন, ‘আজ এত বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ ও অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয় ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বে এই সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি স্বাধীনতাকে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে। আজ আমাদের শপথ- এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।’
বিএনপি নেতাদের ভারতবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়। এই বিরোধিতা পাকিস্তান আমল থেকেই হয়ে আসছে। যখন কোনো ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতার ইস্যু সামনে আসে।’
সমকাল