স্বর্ণ চোরাচালানে যুক্ত থাকলে নিষিদ্ধ হবে এয়ারক্রাফট

গত ১১ নভেম্বর তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছিলেন, আমদানি তথ্যানুযায়ী স্বর্ণের পরিমাণ কম হলেও দেশের

গত ১১ নভেম্বর তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছিলেন, আমদানি তথ্যানুযায়ী স্বর্ণের পরিমাণ কম হলেও দেশের জুয়েলারিগুলোয় টনকে টন স্বর্ণ। একই কথা তিনি গতকালও বলেছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘কাস্টমস হেল্পডেস্ক’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। এ সময় তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাজারে স্বর্ণের কোনো অভাব নেই। কিন্তু আমদানি তথ্য কম। এত স্বর্ণ কীভাবে কোথা থেকে আসে, আমার কাছে কেউ জানতে চাইলে কোনো জবাব নেই। দেশে যে পরিমাণ স্বর্ণ আছে, তার সঙ্গে আমদানির হিসাবের মিল নেই। এ ব্যাপারগুলো নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যেসব এয়ারক্রাফটে স্বর্ণ চোরাচালান হয়, আলাদা মেকানিজম করে, সেসব এয়ারক্রাফট নিষিদ্ধ করা হবে, পারমিট দেয়া হবে না। প্রয়োজনে ব্যাগেজ রুলসও আরো কঠোর করা হবে।’

চোরাচালান ও চোরাকারবার মানি লন্ডারিং আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ। এনবিআরকে এ অপরাধের তদন্তভার দেয়া হয়েছে। এনবিআর এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘যখনই কোনো চোরাচালান ধরা পড়ে, সেটার তদন্ত হয়। যৌথ টাস্কফোর্সও আছে, এ ধরনের সেনসিটিভ ইস্যুগুলোর জন্য। যেভাবে হওয়ার কথা হয়তো আমরা সেভাবে করতে পারছি না। আমাদের চারটি গোয়েন্দা ইউনিট এ কাজগুলো করে থাকে।’

এনবিআরের এক সদস্য বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিমানের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বৈঠকও করেছেন।’

এনবিআরের আরেক সদস্য বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী বৈধভাবে স্বর্ণ আনা যায়। কেউ কেউ এটার অপব্যবহার করছেন। তারা ঘন ঘন বিদেশ যাচ্ছেন। আর ফেরার সময় স্বর্ণ নিয়ে আসছেন। বৈধভাবে আনা স্বর্ণগুলোই তারা বিক্রি করে দিচ্ছেন। গত অক্টোবর থেকে আমরা এ বিষয়ে নজরদারি শুরু করেছি। ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী আনা স্বর্ণের মালিকদের তথ্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটকে (বিএফআইইউ) দিচ্ছি।’

আগামী বাজেটে ব্যাগেজ রুলসে বড় ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে বলে এনবিআরের আরেকজন সদস্য বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন।

ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, শুল্ক-কর পরিশোধ করে আনা যায় ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার। এজন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হয়। বিদেশফেরত একজন যাত্রী বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনতে পারেন। এক যুগ ধরে ব্যাগেজ বিধিমালায় এ সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। এবারো এ সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। তবে ব্যাগেজ রুলে ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীদের জন্য স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here