স্পোর্টস ডেস্ক
(৪১ মিনিট আগে) ১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৩:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১২ অপরাহ্ন
আগামী সপ্তাহে পর্দা উঠছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল)। জনপ্রিয়তা কিংবা তারকা সমাগমে আইপিএলের ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ। আর টাকার ঝনঝনানি তো আছেই। যে কারণে দিনদিন ফুলেফেপে উঠছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) থেকে তাদের আয় অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। যার কারণে বড় কয়েকটি দল বাদে বাকিরা সবাইকে রীতিমতো ভুগতে হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে গোপনে একটি বৈশ্বিক টি-টোয়েন্টি লীগ আয়োজন করার ছক কষছে সৌদি আরব, যেখানে বিনিয়োগ করা হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০৬৯ কোটি টাকা।
উদ্যোগটি মূলত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক বোর্ড সদস্য নিল ম্যাক্সওয়েলের। যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি লীগের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় অবদান রয়েছে ৫৭ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েলের। তার আরেক পরিচয় তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ব্যবস্থাপক। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এজ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পরিকল্পনা নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল। সে অনুযায়ী, টেনিসের গ্র্যান্ডস্ল্যামের আদলে সৌদি আরবভিত্তিক একটি টি-টোয়েন্টি লীগ চালু করবেন তিনি। সেখানে ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে রাষ্ট্রের অধীনস্ত ক্রীড়া বিনিয়োগকারী সংস্থা এসআরজে স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস।
ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সৌদির ক্রিকেট কতৃপক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে আইসিসির সঙ্গে। টেনিসে প্রতি বছর যেমন ৪টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন, ইউএস ওপেন) হয়, তেমনি সৌদিও বছরের আলাদা সময়ে ভিন্ন চারটি দেশে লীগটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। ছেলেদের পাশাপাশি টুর্নামেন্ট থাকবে মেয়েদের জন্যও। ফাইনাল হতে পারে সৌদিতে। তবে আদতে এটি কবে শুরু হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। এর জন্য অনুমতি মিলতে হবে আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনাপত্তিপত্র দেয়ার জন্য রাজি করাতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিসিআই)। অতঃপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর দিকে।
এসআরজে স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস মূলত সৌদি আরবের সর্বজনীন বিনিয়োগ তহবিলের একটি অংশ। ক্রীড়াঙ্গনের প্রসারের প্রয়াসে তারা মাঠে নেমেছে প্রায় ১ কোটি ২১ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা (১ লাখ কোটি ডলার) নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, লীগটি বাস্তবায়িত হলে আর্থিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ক্রিকেট বোর্ডগুলো সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।