সুপ্রিমকোর্টে জাতীয়তাবাদী ও আওয়ামী আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, ভাংচুর

 

 

আমার দেশ
 ১৬ মে ২০২৩

সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও আওয়ামী আইনজীবীদের মধ্যে আবারো ধাক্কাধাক্কি, হামলা-পাল্টা হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি

সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও আওয়ামী আইনজীবীদের মধ্যে আবারো ধাক্কাধাক্কি, হামলা-পাল্টা হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সুপ্রিমকোর্ট সম্পাদকের দফতরের কক্ষে ভাংচুরের ঘটনায় পরস্পরে একে অপরের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম দাবি করছে, আওয়ামী আইনজীবীরা নিজেরাই সম্পাদকের ক্ষক্ষে কিছু ভাংচুর চালিয়ে তাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। অপর দিকে আওয়ামী আইনজীবীরা দাবি করছে জাতীয়তাবাদি আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা এই ভাংচুর করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ই মে) দুপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নতুন করে বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করে সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনের সামনে। এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে বারভবনের দোতালায় উঠে সম্পাদকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ করলে আওয়ামী আইনজীবীরাও পতিরোধ করতে আসে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদকের দফতর ভাংচুর করা হয়।

গত  ১৫ই ও ১৬ই মার্চ সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ছিল। ব্যালট ছাপানোকে কেন্দ্র করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ ভোটের আগের দিন পদত্যাগ করেন। ভোটের আগের দিনই ব্যালটে সীল মারার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হামলার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পিটিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করে ভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানায়। তাদের দাবিকে প্রত্যাখান করে একতরফা ভোটগ্রহন করে আওয়ামীরা। এই ভোটের দিন জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং ভোটদানে বিরত থাকেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা ভোটদানে বিরত থাকায় ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনার পর থেকেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নতুন নির্বাচনের দাবীতে নিয়মিত বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও মিছিল-সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে আইনজীবীরা সম্পাদকের কক্ষের সামনের অংশ ও জানালার কাঁচ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় কক্ষে আবদুন নূর দুলাল অবস্থান করছিলেন।

বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তারা (আওয়ামীপন্থী) ভাঙচুর করে আজকে আমাদের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাকর্মী তথা সাধারণ আইনজীবীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

অপর দিকে আওয়ামী আইনজীবী নেতা আবদুন নূর দুলাল সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, তারা সম্পাদকের রুমে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।