সিনহা হত্যা মামলায় সপ্তম দফায় সাক্ষ্য দিলেন আরও পাঁচজন

Prothom Alo | নিজস্ব প্রতিবেদক

এসআই কামাল হোসেনের সাক্ষ্য নেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলমসহ তিনজন আইনজীবী। এরপর তাঁকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। মধ্যে এক ঘণ্টার বিরতির দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত আরও পাঁচজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

সাক্ষীরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, পরিদর্শক এ বি এম শামসুদ্দোহা ও মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হক। একই সময় সার্জেন্ট আয়ূব আলীকেও দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামি।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামি। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সপ্তম দফার প্রথম দিনে পাঁচজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হলো ৬৪ জনের। মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন। কাল মঙ্গল ও পরশু বুধবার দুই দিনে আরও অন্তত ২০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হতে পারে। আগের ছয় দফায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল ৫৯ জনের।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, পাঁচজন সাক্ষীর মধ্যে মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হকের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা হয়নি সময়ের অভাবে। অবশিষ্ট চারজন সাক্ষী মামলার আলামত সংগ্রহকারী। আদালতে সাক্ষীরা আলামত সংগ্রহের কথা তুলে ধরেছেন।

আইনজীবীরা বলেন, প্রথম দফায় গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে এ মামলার সাক্ষ্য দেন দুজন। তাঁরা হলেন মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে গাড়িতে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাত। দ্বিতীয় দফায় চার দিনে সাক্ষ্য দেন ৪ জন, তৃতীয় দফায় তিন দিনে ৮ জন, চতুর্থ দফায় দুই দিনে ৬ জন, পঞ্চম দফায় তিন দিনে ১৫ জন এবং ষষ্ঠ দফায় ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পাঁচ দিন পর, অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।