‘সাগর-রুনি হত্যার পর সাংবাদিকরা একসাথে রাস্তায় নেমেছিলেন, পাঁচ দিনও টিকেনি’

Daily Nayadiganta

‘সাগর-রুনি হত্যার পর সাংবাদিকরা একসাথে রাস্তায় নেমেছিলেন, পাঁচ দিনও টিকেনি’ – ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোজিনা ইসলামের পক্ষে সব সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, শুনলাম। এই ঐক্য কতক্ষণ টিকবে? সাগর-রুনি হত্যার পর দু’পক্ষই (সাংবাদিক) তারা একসাথে রাস্তায় নেমেছিলেন। চার-পাঁচ দিনও যায়নি। একজন উপদেষ্টা হয়ে গেলেন সরকারের। আরো কয়েকজনকে হালুয়া-রুটি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার কথাগুলো… দুঃখিত, আমি স্পষ্ট করে বলছি।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম, মুক্তির পথ কী?’ শীর্ষক বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘সরকার তথাকথিত উন্নয়নের নামের লুটপাট, তাদের ডাকাতি চালিয়ে যেতে থাকবে’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এজন্য তারা সংবিধানকে কেটে-সেঁটে তাদের মতো করে নিয়েছে। দুর্নীতির চিত্র যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য গণমাধ্যমের ওপর আঘাত করে চলেছে। আজকে এক দিকে যেমন সংবাদপত্রের ওপর আঘাত আসছে, অন্য দিকে মানুষের অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের ওপরও আঘাত আসছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যখন আমাদের লোকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, যখন রিমান্ডে দেয়, যখন মারধর করে, নির্যাতন করে, গুম করে, খুন করে, তখন আমরা দেখি যে অনেক সংবাদমাধ্যমে এ সম্পর্কে নিরব থাকে। কেউ কেউ আবার আপনার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে এটাকে ডিফেন্ড করে সরকারের ভূমিকাটা কী।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা হালুয়া-রুটির সন্ধানে থাকবো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই ফেভারের সন্ধানে থাকবো, ততক্ষণ পর্যন্ত এই যে রোজিনা ইসলামের মতো সাহসী সাংবাদিক যারা নিজের জীবন বিপন্ন করে আজকে সত্য কথাগুলো তুলে ধরে তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না। এটাই বাস্তবতা ‘

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান লন্ডনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মাহমুদুর রহমানকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। শফিক রেহমানকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। যে নির্যাতন তাদের ওপর হয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি এটাও বলতে শুনেছি যে মাহমুদুর রহমান কোনো সাংবাদিক নন, সম্পাদক নন। এটাও বলতে শুনেছি, শফিক রহমান তো আসলে কোনো সাংবাদিক নন। এই দ্বিমুখী অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী ও সাহসী সাংবাদিকতার জন্য তাকে সাদুবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি তাকে বাহবা জানাই। একইসাথে তাকে শ্রদ্ধা করি। তিনি অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সত্য প্রচার করেছেন ও তার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, এই নির্যাতনের মধ্যেও তিনি নতি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন যে আমার প্রতি অন্যায় হয়েছে।’