সরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলন’ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই হবে: মির্জা ফখরুল

এর আগে গুলশানের কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংলাপ হয়। সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গণ-আন্দোলনের দফা নির্ধারণ করার বিষয়ে মোস্তফা জামাল হায়দার সাহেবের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের দাবিনামার মধ্যে যেটা কমন, সেটা হচ্ছে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তার অধীন একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তি…।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি, এই দাবিগুলোতে আমরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করব। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ করেই এটা আমরা শুরু করব।’

পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এ টু জেড সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা। আল্লাহর রহমতে আমরা সেই পথে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছি। আমরা আওয়ামী লীগবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় সফলকাম হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ এই সংগ্রাম জয়যুক্ত হবেই।’

গতকাল রোববার ২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি। আজ সন্ধ্যায় এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস, মাওলানা রুহুল আমীন, সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা হান্নান আহমেদ খান, এ এস এম শামীম, কাজী মো. নজরুল ও গোলাম মোস্তফা। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলম খান।

বিএনপির মহাসচিব জানান, সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষ করে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে।