বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার মানুষের জীবনকে পরোয়া করছে না। তিনি বলেন, আজকে সারা দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ির মাটির গর্তে, খড়ের পালার মধ্যে চাল এবং খাটের ভেতর তেল পাওয়া যাচ্ছে। এটা হবার কথা নয়। কারণ এই সরকার নির্বাচিত নয়। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা নেই বলেই তারা অসহায় দুস্থ মানুষের দুর্ভিক্ষের মধ্যেও ত্রাণ আত্নসাত করছে।

বুধবার সকালে নগরীর কাজিহাটা এলাকায় রাজশাহী জেলা শাখা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব এসব কথা বলেন।

এ সময় দৈনিক দিনকাল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রাশেদুল হক ও রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুসরাত এলাহী রিজভীসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শপিংমলে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ দিয়ে খুলে দেয়া হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া হয়েছে। যেখানে ছোঁয়াছে এমন একটি রোগ একজনের কাছ থেকে অন্য জনের শরীরে গেলে জীবননাশের আশংকা রয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে সরকার শপিংমল খুলে দিয়েছে।
রিজভী আরো বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন খুলে না দিলে কিভাবে চলবে। তাদের কথায় মনে হচ্ছে মানুষের জীবনের চেয়ে অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সরকার মানুষের জীবনকে পরোয়া করছে না।

সরকারের একজন মন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে বিএনপি নয়, জুয়া খেলছে সরকার। সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সরকারি কোনো রিলিফ পাইনা। আমরা নিজেদের পয়সা খরচ করে ত্রাণের ব্যবস্থা করি। এরইমধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ পরিবারকে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ত্রাণ সরবরাহ করেছে। আমরা কেউ বসে নেই। পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীরা কাজ করছে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে।

ত্রাণ বিতরণকালে রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার প্রকোপে শুধু মানুষের জীবন নয় খাবারের জন্য, ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। কর্মহীন মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কোন কাজ নেই। তাদের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে না। এরকম পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবক দল যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার জন্য তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।