সরকার দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে : ফখরুল

  • অনলাইন প্রতিবেদক
  •  ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:১৪

সরকার দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে : ফখরুল – নয়া দিগন্ত

সরকার দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার জিয়া শিশু একাডেমির শাপলাকুঁড়ির অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘অতীতের যা কিছু মহান, যা কিছু ভালো- সবকিছু ভুলিয়ে দাও। আর যারা ভালো কাজ করছে, করেছে, স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে এবং রক্ত দিয়েছে তাদের মনে করার কোনো দরকার নেই- এই ধরনের একটা আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে।’

বিএপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা খুব কষ্টের, বেদনার। এটা কখনো কোনো জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দেয় না। আমরা নতুন পৃথিবী এবং আনন্দময় স্বপ্ন দেখতে চাই। আমরা আলোকিত পৃথিবী চাই, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যদিও চারদিকে অন্ধকার ছেয়ে ফেলেছে, সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

শিশুদের জন্য একটি পৃথিবী নির্মাণের প্রত্যাশা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন নতুন পৃথিবী করার চিন্তায়। স্বপ্ন দেখতেন আনন্দ ও কল্যাণময় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বার। তিনি একেকজন শিশুকে শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘সঙ্কটটা বড় জটিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের বিজয়ের এই মাসে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, পথ দেখিয়েছিলেন, ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, আমাদের জন্য বন্দী ছিলেন তাদেরকে আমরা সেইভাবে সামনে নিয়ে আসতে পারছি না, মনে করতে পারছি না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আমাদের সেই মহান প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়াকে স্মরণ করবো, যিনি সমস্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন। আজ তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আজকের এই বড় দিনে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন তাকে (খালেদা জিয়া) সুস্থ করে আবার আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।’

এ সময় বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি একটা দুঃখের কথা জানাতে চাই। আমাদের দেশের বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজ ভাই (রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ) তিনি দুপুরে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি একজন প্রতিথযশা মেধাবী সম্পাদক ছিলেন।’

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হলে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘শাপলাকুঁড়ি’র শিল্পীদের পুরস্কার বিতরণ ও যিশু খ্রিষ্টের বড় দিনে এই অনুষ্ঠান হয়।

জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুব দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা।

উল্লেখ্য, শাপলাকুঁড়ির যাত্রা শুরু ১৯৯৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে এই অনুষ্ঠান শাপলাকুঁড়ি মেডেল দেয়া হয়।