সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে: মির্জা ফখরুল

সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে: মির্জা ফখরুল 

সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাহিনী হিসেবে পুলিশের সম্মান ইজ্জত কোথায় থাকে, যখন তার সাবেক প্রধানকে স্যাংশন দেওয়া হয়, সাবেক আইজিপিকে পালিয়ে যেতে হয় দেশ থেকে। অর্থাৎ এই সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আপনারা পত্র-পত্রিকা খুললেই দেখতে পাবেন, বেনজীরের নজিরবিহীন দুর্নীতি। একইসঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ তাকেও স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। একজন এমপিকে পার্শ্ববর্তী দেশে টুকরো টুকরো করা হয়েছে এই হল সরকারের চেহারা।’ আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি, এই অবস্থা তৈরি করেছে বর্তমান সরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার বলি, সাহস থাকলে আসেন না একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাচন হবে, কার কত জনপ্রিয়তা বোঝা যাবে। এই সরকারের শাসনকালে দলীয় সরকারের অধীনে তিনটা নির্বাচনেই প্রহসন হয়েছে। এরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। গত ১৫ বছরে একটা দানব সরকার সবকিছু ধ্বংস করেছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করার আমরা চেষ্টা করছি। জেল খাটছি। আমরা বারবার জেলে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনো চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য আমাদের সংগঠনকে আরও দৃঢ় করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে দূর করে ফেলতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে এক জোটে নামতে হবে। কারণ, এটা বিএনপির সমস্যা না, এটা বাংলাদেশের সমস্যা, জাতির সমস্যা। এই জাতি ভবিষ্যতে টিকবে কি টিকবে না আপনার ছেলেরা ভবিষ্যতে চাকরি পাবে কি পাবে না। তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারবে কি পারবে না; তার পুরোটাই নির্ভর করছে এই সরকারকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরাজিত করতে না পারা পর্যন্ত।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, জিয়া ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। জিয়ার আহ্বানেই দ্বিধা বিভক্ত জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা সরকার মুছে ফেলতে চায়। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনও অস্বীকার করি না। ৪৩ বছর পরেও জিয়াকে এদেশের মানুষ ভুলে নাই। যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করে তারা তো দেশের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে। কারণ, তিনি তো স্বাধীনতার ঘোষক।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সাহিদা রফিক, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

সমকাল