সরকার অসাংবিধানিক ও মানবাধিকার পরিপন্থী কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেয় বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসঙ্ঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে এ দিনটি মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্মম শিকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে দীর্ঘ দিন যাবত কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। সরকার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে প্রায় ১৩ বছর যাবত কারাগারে আটক রেখেছে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ বিরোধী দলীয় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এটিএম আজহারুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে বারবার ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনার পরও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে সরকারের এই আচরণ চরম অসাংবিধানিক ও মানবাধিকার পরিপন্থী।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের এই দিনে আটক সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে আপামর জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নয়াদিগন্ত