সরকারি সুবিধা নিয়ে ভোটের প্রচারে জি এম কাদের

সরকারি সুবিধা নিয়ে ভোটের প্রচারে জি এম কাদেরজি এম কাদের। ছবি: সমকাল

সরকারি সুবিধা নিয়ে রংপুরে ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে তিনি ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’। নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী প্রচারে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না’।

আজ বৃহস্পতিবার উপনেতার কার্যালয়ের চিঠিতে জি এম কাদেরের রংপুর যাত্রাকে সরকারি সফর বলা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সফরসঙ্গী হবেন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন জি এম কাদের। তাঁর সফরের খরচ বহন করে সরকার।

শনিবার সকাল ১০টার বিমানে জাপা চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যাবেন। ব্যবস্থাপনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে রংপুরের নির্বাচনী এলাকায় যাবেন জি এম কাদের। যে পথ দিয়ে তিনি যাবেন, ওই এলাকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের ব্যবস্থাপনার জন্য বলা হয়েছে। আগামী সোমবার ফিরতি যাত্রায় অনুরূপ ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে।

সফরসূচিতে বলা হয়েছে, শনিবার বেলা ১১টায় রংপুরের সেনপাড়ার বাসভবনে পৌঁছাবেন জি এম কাদের। সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করবেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উদ্দেশে সেনপাড়ার বাসভবন ছাড়ার আগের ৪৬ ঘণ্টায় তিনি রংপুরে কী কী কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তা বলা নেই চিঠিতে।

রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির সমকালকে বলেন, শনিবার নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন জি এম কাদের। শনি ও রোববার পথসভা এবং গণসংযোগ করবেন।

যদিও বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি সফরের মাঝে বা সফরের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের মতো কর্মকাণ্ড জুড়ে দেওয়া নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে জি এম কাদেরের বক্তব্য জানতে পারেনি সমকাল। গত ১৫ নভেম্বর তপশিল ঘোষণার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমের সামনে আসছেন না। আবু তৈয়ব সমকালকে বলেন, ‘সরকারি সফরের মাঝে নির্বাচনী প্রচারে বাধা নেই।’ আচরণ বিধিমালা জানানোর পর তিনি মন্তব্য করেননি।

গত ২০ অক্টোবর মুদ্রিত আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী,  প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবং তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, এমপি এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ১৪(১) উপধারা অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ভোটের প্রচারে সরকারি যানবাহন, প্রচারযন্ত্র এবং অন্য কোনো রকম সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে জি এম কাদের উপনেতার জন্য বরাদ্দ ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে রংপুর যাচ্ছেন।

সমকাল