- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:২৯, আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৩২
এক দফার আন্দোলনে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে রাজপথে নেমে আসার ডাক দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই ডাক দেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে বড়-ছোট-মাঝারি দল এটা বড় কথা নয়। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য, নাকি গণসংহতি আন্দোলন, না গণতন্ত্র মঞ্চ এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত, বিপন্ন। এদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
‘আমরা আসুন গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের রাজপথে নেমে পড়বো। যেখান থেকে উচ্চ কণ্ঠে আমরা উচ্চারণ করব আর নয় এক দফা দাবি, তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ছেড়ে দিয়ে জনগনের একটি রাষ্ট্র, জনগণের একটি পার্লামেন্ট, জনগনের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও।’
‘অন্যথায় পালাবার পথটা খুঁজে পাবে না এটা আমি বারবার বলেছি। আসলে পাবে না কিন্তু। অতীতে দেখবেন ডিক্টেটররা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই’ হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে তরুণ-যুবকেরা আছেন এই সাকি (জোনায়েদ সাকি) দলে এবং অনেকে আছেন তরুণ-যুবক, তারা সামনে এগিয়ে এসেছেন। আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই যে, তারা আরো বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরো বড় হোক, তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক। মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষনহীন একটা সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করুক, এটা আমি আন্তরিকভাবে চাই।’
‘আমি বিশ্বাস করি একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদেরকে এখনই সময়। আর কোনো দেরি করার সময় নেই।’
তিনি বলেন, ‘আজকে সেই সময় এসেছে। আমাদের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
‘আমি খুব আনন্দিত হই, প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যারা আছি, তার বাইরেও যারা আছেন, আমরা সবাই এক হয়েছি, একটিই দাবি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেখানে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিতসা করতে না দেয়ার সরকারের প্রতিহিংসার কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ৩১ দফা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারীর সভাপতিত্বে সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য জুলহাসনাইন বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।