- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ অক্টোবর ২০২১
অকারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। মহামারীকালে অনেক যৌক্তিক কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু এখন কোনো কারণ ছাড়াই প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, পরিবারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না। শিক্ষিত অনেক বেকার যুবক কাজ না পেয়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে। কিন্তু কারো যেন কিছুই করার নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
এদিন কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা নবনিযুক্ত মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ সময় বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামেই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তখন আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করেছে পশ্চিম পাকিস্তান আর এখন আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি দেশের ভেতরে। দেশে সুশাসনের অভাব আছে। তাই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে না। কিছু মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করতে বিদেশে যাচ্ছে, দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে অট্টালিকা তৈরি করছে। দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষের পরিবার চালাতে দুঃশ্চিন্তাও বেড়েছে। দুঃশ্চিন্তায় মানুষ ঘুমাতে পারছে না। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় কম হলেই মানুষ সংসার চালিয়ে কিছু সঞ্চয় করতে পারবে, বিপদের সময় সেই সঞ্চয় কাজে লাগে। সঞ্চয় তো দূরের কথা এখন দেশের মানুষ ভালোভাবে দিনই চালাতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আর আন্দোলনের সময় সবাই গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে গণতন্ত্রের কথা ভুলে যায়। রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বিকৃতির কারণে দেশপ্রেমিক মানুষেরা রাজনীতির মাঠে টিকতে পারছে না। যারা রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তারা গণমানুষের কথা ভাবে না। কারণ বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদদের নিয়ে এগিয়ে যাবে। সত্য ও ন্যায়ের বিজয় একদিন হবেই।তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সুশাসন ভোগ করেছে। তাই দেশের মানুষ আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।
এ সময় জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রতিটি গ্রামে গ্রামে জাতীয় পার্টির কমিটি করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে দলকে আরো সুসংহত করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে শক্তিশালী জাতীয় পার্টি লড়াই করবে। গণমানুষের আস্থা নিয়ে জাতীয় পার্টি দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন করবে। আগামী দিনে দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে জাতীয় পার্টি।
নবনিযুক্ত মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সৈনিক পার্টির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, তাড়াইল উপজেলার সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম শাহীন, করিমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগম, চান মিয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হুমায়ুন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ, আনোয়ার হোসেন তোতা, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, এমএ রাজ্জাক খান, এসএম আল জুবায়ের, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তিতাস মোস্তফা, জাকির হোসেন মৃধা, আব্দুস সাত্তার গালিব, নুরুল হক নুরু, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির শাওন, ফারুক শেঠ, মখলেসুর রহমান বস্তু, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, হাজী লিটন, তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোড়ল জিয়াউর রহমান, সৈনিক পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. আবু তাহের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম আলাউদ্দিন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. আবুল বাশার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলামসহ কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের নেতাকর্মী।