জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এক চিঠিতে তার সরকারের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ১৬ আগস্ট এক চিঠিতে জাতিসংঘের মহাসচিব গণতন্ত্রের দিক উন্মোচনে ড. ইউনূসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং চিঠিটি প্রকাশ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য আবাসিক সমন্বয়কারী এবং জাতিসংঘরে কান্ট্রি টিমের মাধ্যমে যে কোনো অনুরোধ পেলে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাতিসংঘ প্রধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানান। গুতেরা বলেছেন, বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। তিনি আরও বলেছেন, এই ক্রান্তিকালীন সময়ে সহিংসতার অবসান ঘটাতে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে, আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথ নির্ধারণে ড. ইউনূসের নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে মহাসচিব বলেন, আমি আশাবাদী যে আপনার (ইউনূসের) সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে যার মাধ্যমে যুবক ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাক স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত হবে। দেশের সকল নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর নির্ভর করছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
ড. ইউনূসকে পাঠানো চিঠিতে গুতেরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। মহাসচিব বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মঙ্গল নিশ্চিত করতে আমি আপনাকে (ইউসূসকে) জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। রিপাবলিক অব দ্য ইউনিয়ন অব মায়ানমারের অবনতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনা করে গুতেরা ড. ইউনূসকে এই আহ্বান জানান। চিঠিতে সর্বশেষ গুতেরা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন তার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
manabzamin