আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও নিরপেক্ষভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক। নির্বাচন বানচালের বহুমুখী ষড়যন্ত্র ছিল। সেই প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়েছিল এবং ভোট দিয়েছিল। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন দুই ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচনও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এখানে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী-এমপি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত প্রশাসনও শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। কেউ কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করলেও দলীয় প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচনে জনগণের মতামতের সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোট দেবে। নির্বাচনে কোনো প্রকার অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বিনষ্ট করার কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার জন্য মন্ত্রীসহ দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
সমকাল