- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৪
অন্যবারের তুলনায় এবার প্রত্যাশার পারদটা ছিল একটু বেশি। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়েই দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। তবে আশায় গুড়েবালি, পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছে হার; সুপার ফোর পর্ব থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে টাইগারদের। লঙ্কানদের সাথে হারের পর উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন, যা ছিলো ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও।
শনিবার লঙ্কানদের কাছে ২১ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। স্বভাববিরুদ্ধ দীর্ঘ সময় এদিন কথা বলেন গণমাধ্যমের সাথে। হয়তো দলের এই দুঃসময়ে উঠা প্রশ্ন থেকেই ফিরে আসার উত্তর খুঁজছেন সাকিব! যাহোক ১৫ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব দিলেন অনেক প্রশ্নের উত্তর।
এই সময় বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন সাকিব। ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, আমরা সবসময় দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভালো করলেও বড় টুর্নামেন্টে ফেল করি! আমাদের বড় টুর্নামেন্টে ভালো করার ইতিহাস নাই। এই প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমরা কোনো বড় টুর্নামেন্ট বা ইভেন্টে ভালো করিনি। আমাদের এমন কোনো ইতিহাস নেই। সব বিশ্বকাপেই আমরা তিনটি করে ম্যাচ জিতেছি। এটা নতুন কিছু নয়।’
যোগ করেন, ‘টুর্নামেন্টে আমাদের সাফল্য আসেনি ওইভাবে। বলতে পারেন আমরা এশিয়া কাপে দুই তিনবার ফাইনাল খেলেছি। যদি জিততাম, তাহলে আরো ভালো হতো। তার মানে এটা না যে আমরা ভালো দল না খারাপ দল। আমরা সব সময়ই একটা প্রমিজিং দল। নিয়মিত বিরতিতে আমরা ভালো করে আসছি। শেষ দুটি সিরিজে আমরা ঘরের মাঠেও হেরে গিয়েছি।’
গত কয়েক মাসে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স যে পড়তির দিকে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন সাকিব। গত ভারত সিরিজ থেকেই প্রত্যাশামত পারফর্ম করতে পারেননি কেউ। একেক সিরিজে একেকজন সেরাটা দিয়েছেন। নিয়মিত রান পাননি। বিশ্বকাপের আগে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চান সাকিব।
বলেন, ‘যদি আমি গত ছয়মাসের চিন্তা করি বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের একটু পড়তির দিকে। সেটা ইংল্যান্ড বলেন, আফগানিস্তান বলেন, এশিয়া কাপেও। এটা ধারাবাহিকভাবে একটু নিচের দিকেই যাচ্ছে। আমরা এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো খুঁজে বের করতে পারি কী কী জায়গায় কাজগুলো করলে আমরা ভালো ফলাফল পেতে পারি।’
এই সময় প্রশ্ন ছিল নাইম শেখের অফফর্ম নিয়ে। তবে তাকে আগলে রাখেন সাকিব। বললেন, আসলে শুধু একটা আউট নিয়ে বলে লাভ নেই। নাইম চার ম্যাচেই ভালো শুরু করেছে। এরপর আউট হয়ে যাচ্ছে। এ রকম ঝামেলার উইকেটে আমরা ওপরের চারজন যদি একটা বড় জুটি করতে পারতাম, আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ত। কিন্তু দ্রুত চারটা উইকেট পড়ে যাওয়ার খেলাটা বদলাতে হয়েছে। ওখান থেকে ফেরা কঠিন ছিল।’
কথা উঠেছিল মাহমুদউল্লাহর না থাকা নিয়েও৷ যেখানে স্পষ্টবাদী সাকিবের উত্তর, ‘গত তিনটা সিরিজে রিয়াদ ভাই খেলেনি। তখন এটা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন কিনা জানি না। এখন রিয়াদ ভাইকে নিয়ে প্রশ্ন করা অপ্রাসঙ্গিক। ’
সাকিব এবার তাকিয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজে। বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনটি ম্যাচ আছে। সেখানে আমরা কিছু জিনিস দেখব। সবারই সুযোগ আছে খেলার। তবে এশিয়া কাপে যারা খেলেছে, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বকাপে নিশ্চিত যাবে, তাদের বিশ্রাম থাকতে হবে। প্র্যাকটিস ম্যাচ, ট্রাভেলিং মিলিয়ে অনেক বড় সফর বিশ্বকাপে। কারও ইনজুরি হলে সমস্যা হবে। আমাদের হাতে ভালো বিকল্প নেই। সবার ফিট থাকাটা খুব জরুরি। ইবাদত নেই, আশা করব চার পেসারই যেন ফিট থাকে।’