শতক হাঁকিয়েও দলকে বাঁচাতে পারলেন না কোহলি, প্লে অফে মুম্বাই

 

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ২২ মে ২০২৩, ০৫:৪৭
শতক হাঁকিয়েও দলকে বাঁচাতে পারলেন না কোহলি, প্লে অফে মুম্বাই – ছবি : সংগৃহীত

শেষ হলো আইপিএলের গ্রুপ পর্বের আকর্ষণ, বাকি নেই আর কোনো সমীকরণ। নিশ্চিত হয়েছে প্লে অফের চার দল, শেষ দল হিসেবে প্লে অফে যোগ হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বিপরীতে সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ রক্ষা হলো না বেঙ্গালুরের, শতক হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি বিরাট কোহলি।

বেঙ্গালুরু যখন রোববার গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে, প্লে অফ নিশ্চিত করতে জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না তাদের সামনে। সমীকরণ একটাই গুজরাটের বিপক্ষে জয় চাই, অন্যথায় বিদায়। সেই লক্ষ্যেই টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির হার না মানা শতকে ভর করে ১৯৭ রানের সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু।

বিশাল এই রানও শেষ পর্যন্ত ডিফেন্স করা যায়নি, পাল্টা শতক হাকিয়ে গুজরাটের শুভমান গিল ম্যাচটা নিয়ে যান ছিনিয়ে। ৫ বল বাকি থাকতেই তার দল জয় তুলে নেয় ৬ উইকেটে। কাকতাল হলেও সত্য; কোহলি কিংবা গিল, দু’জনেই শতক পেয়েছিলেন ঠিক তার আগের ম্যাচেও! যেখানে আবার প্রতিপক্ষ ছিল একই, হায়দ্রাবাদ।

আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, আজ যেন সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন কোহলি৷ তবে কেউই তাকে বড় সঙ্গ দিতে পারেনি। ৭.১ ওভারে ডু প্লেসিসের সাথে তার উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৬৭ রানে। ১৯ বলে ২৮ রান করে ফেরেন ফাফ ডু প্লেসিস। তবে এরপর দ্রুত ম্যাক্সওয়েল (১১) ও মহিপালের (১) উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। ৯.১ ওভারে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৮৫ রান।

এরপর মিচেল ব্রেসওয়েলের সাথে ৩০ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে ফের দলকে চাঙ্গা করেন তিনি। ১৬ বলে ২৬ করে ফেরেন ব্রেসওয়েল, এক বল পরেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন দিনেশ কার্তিক। এবারের আইপিএলে যা তার চতুর্থ ডাক! যাহোক ততক্ষণে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। দলীয় রান ১৪.২ ওভারে ১৩৩/৫।

সেখান থেকে দলকে ২০০ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ এনে দেন কোহলি ও আনুজ রাওয়াত জুটি। মাত্র ৩৫ বলে ৬৪* রান আসে এই জুটি থেকে। ১৫ বলে ২৩ রান করে রাওয়াত অপরাজিত থাকেন। কোহলির ব্যাট তিন অংক স্পর্শ করে, খেলেন ৬১ বলে ১০১* রানের ইনিংস! আগের ম্যাচেও হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে শতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।

১৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ঋদ্ধিমান সাহাকে (১২) হারায় গুজরাট। ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ওয়ানডাউনে নামা বিজয় শংকরকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন গিল। ৩৫ বলে ৫৩ রান করেছেন শংকর। শংকর যখন কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৪.৫ ওভারে গুজরাটের সংগ্রহ তখন ১৪৮/২।

তবে ২ রান যোগ হতেই পরের ওভারে দাসুন শানাকা ৩ বলে ০ করে ফিরলে খানিকটা চাপে পড়ে যায় গুজরাট। তবে গিলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে সেই চাপ বাঁধা হতে পারেনি৷ ডেভিড মিলারকে নিয়ে ১৪ বলে ২১ ও রাহুল তিওয়াতিয়াকে নিয়ে ১৩ বলে ২৭* রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

ততক্ষণে অবশ্য গিল তুলে নেন তার টানা দ্বিতীয় শতক। আগের ম্যাচে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলার পর আজ দেখা দেন আরো বিধ্বংসী রূপে। মাত্র ৫২ বল থেকে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫ চারের সাথে হাঁকান ৮টি বিশাল ছক্কাও। সুবাদে ৬ উইকেটের জয় পায় তার দল।

প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করা গুজরাটের এই ম্যাচে জয়-পরাজয়ে কোনো ব্যবধান ছিল না। তবে ব্যবধান ছিল মুম্বাইয়ের। বেঙ্গালুরু জিতলে প্লে অফ থেকে বাদ যেত দলটি। ফলে শুভমান গিলের শতকটা যেন গুজরাটের থেকেও বেশী আনন্দ এনে দিয়েছে মুম্বাইকে। বেঙ্গালুরুকে পেছনে ফেলে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে উঠেছে তারা।

প্লে অফ নিশ্চিত করা বাকি দুটি দল হলো চেন্নাই সুপার কিংস ও লখনৌ সুপার জায়ান্ট।