ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক শহরের বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ‘সামনের সপ্তাহটা কঠিন হতে পারে’ উল্লেখ করে আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান সের্গেই গাইদাই এ আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের স্থানীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআইএএন-এর বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের মূল কেন্দ্রস্থল এখন দেশটির পূর্বাঞ্চল। রুশ বাহিনী এখন সেখানেই মনোযোগ দিচ্ছে। রুশ কর্মকর্তারা বলেন, এখন তাঁদের বাহিনীর মূল লক্ষ্য হচ্ছে দনবাসের পুরোপুরি স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। অর্থাৎ লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ইতিমধ্যে এসব এলাকায় হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। আরও বড় ধরনের আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
এমন অবস্থায় লুহানস্কের স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান সের্গেই গাইদাই। তিনি বলেন, ‘সামনের সপ্তাহটা কঠিন হতে পারে। আপনাদের বাঁচানোর জন্য আমাদের হাতে এটাই হয়তো শেষ সময়।’
ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের পদক্ষেপকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ বন্ধে ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড আর দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয় মস্কো। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর আগেই অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে দিনিপ্রোতে নিয়োজিত বিবিসির প্রতিনিধি জোয়ে ইনউড বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলজুড়ে বিমান হামলাজনিত সতর্কতা সংকেত অনেকটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে পড়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহর থেকে শুরু করে দনবাসের জোলোতে গ্রাম পর্যন্ত সতর্কতা সংকেত বাজতে শোনা যায়। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, গতকাল খারকিভের মধ্যাঞ্চলে নতুন করে গোলা হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে ৫ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় মিকোলাইভ শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতেও ব্যাপক রকেট হামলা হচ্ছে। মিকোলাইভের গভর্নর ভিতালি কিম বিবিসিকে বলেন, বন্দর নগরী ওডেসার দিকে রুশ বাহিনীর অগ্রসর প্রচেষ্টা থমকে দিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।