র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: পাঠানো হয়েছে ৮ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট

logo

 

আল-আমিন

৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা কাটাতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত আট হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট পাঠানো হয়েছে। আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডকুমেন্ট পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। আত্মপক্ষ সমর্থন করে এই দীর্ঘ ৮ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে
র‌্যাব প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, র‌্যাব’র গঠনতন্ত্র, বাহিনীটির বছবব্যাপী আভিযানিক কার্যক্রম এবং অ্যাকশন প্ল্যান, সুন্দরবনে জলদস্যুদের দমনের সার্বিক কার্যক্রম ও দস্যুদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা, পূর্বাঞ্চলে বাম চরমপন্থি আন্দোলনের কর্মীদের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার এবং সমাজে দীর্ঘ মেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনা, জঙ্গি দমনে সাফল্য এবং মাদকের ব্যাপারে বাহিনীটির জিরো টলারেন্সের বিষয়।

ডকুমেন্টে উল্লেখ করা হয়েছে র‌্যাব’র ট্রেনিং ও বাহিনীতে স্বল্প সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়। এছাড়াও র‌্যাব প্রতিষ্ঠার পর ওই সময়ের মানুষের প্রতিক্রিয়া কী-ছিল তা সিডি আকারে পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নিষেধাজ্ঞা উঠানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩টি পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রপাগান্ডা করে র‌্যাব’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য প্ররোচনা দেয়া হয়েছে। তারা আশা করছেন, যে ৮ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট পাঠানো হয়েছে এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ডকুমেন্টগুলোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখবে, পাঠানো তথ্যগুলো নির্মোহভাবে যাচাই-বাচাই করে দ্রুতই মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ থেকে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তা তারা উঠিয়ে নিবে।

গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ থেকে র‌্যাব’র ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছেন পুলিশের সদ্য বিদায় নেয়া আইজিপি র‌্যাব-এর সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বর্তমান পুলিশের আইজি ও র‌্যাব’র সাবেক মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান ও র‌্যাব’র সাবেক পরিচালক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ।

এই ৭ জন কর্মকর্তা এখন আর র‌্যাব-এ কর্মরত নেই। একজন অবসরে গেছেন। বাকি ৬ জন  প্রেষণ শেষে স্ব-স্ব বাহিনীতে ফিরে গেছেন।

এ বিষয়ে র‌্যাব’র আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন মানবজমিনকে জানান, ‘যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটি নেতিবাচক প্রপাগান্ডার মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। এজন্য সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা উঠানোর চেষ্টা করছে।