রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনের জিনিসপত্র কেনাকাটায় দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে গঠন করা সরকারি কমিটি দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি সামগ্রী কেনাকাটায় সেখানে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে।
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৫০ জন কর্মকর্তাকেও চিহ্নিত করেছে কমিটি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিন সিটি হাউজিং প্রজেক্টের সাবেক ইন-চার্জ প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলমসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তদন্ত কমিটি আজ সোমবার এটর্নি জেনারেলের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন হাইকোর্টে পেশ করা হবে।
এ ব্যাপারে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগামী ২১ জুলাই শুনানি করবেন হাইকোর্ট। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।
এটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে গ্রিন সিটি হাউজিং প্রজেক্টের চারটি ভবনের আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী কেনার জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল ১১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৭৭ কোটি ২২ লাখ টাকার জিনিসপত্র সরবরাহ করে বাকি টাকা তছরুপ হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করে গত ২ জুলাই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করতে এটর্নি জেনারেলের অফিসকে নির্দেশ দেয় বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী ও বিচারপতি তারিক উল হাকিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।