রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের

বুধবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।

বুধবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের কিয়েভে আলোচনার পর লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডের সহযোগীদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ান নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশনের অন্যায় নিয়ে আমাদের মূল্যায়নে আমরা একমত। তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে আরেকটি আগ্রাসন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানও রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

জেলেনস্কি বলেন, ডনবাসের অধিকৃত ভূখণ্ডে রুশ ফেডারেশনের সামরিক উপস্থিতি বিদ্রোহীদের পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে আছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটি মিনস্ক চুক্তি থেকে একতরফা প্রস্থান।

তিনি রাশিয়ার ঘোষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, মিনস্ক চুক্তি ইউক্রেনের পূর্ব অঞ্চলে শান্তি আনার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু, তা আর প্রয়োগ করা হচ্ছে না।

জেলেনস্কি বলেন, এটি ইউক্রেনের ডনবাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেন এবং আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা লঙ্ঘন। এই অপরাধের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া তাত্ক্ষণিক এবং কঠোর হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, নর্ড স্ট্রিম প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। এট এমন একটি অস্ত্র যা ইতোমধ্যে ইউক্রেন এবং ইউরোপের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

গতকাল জার্মানি বলেছে, তারা ১১ বিলিয়ন ডলারের ৭৫০ মাইল দীর্ঘ পাইপলাইনের প্রত্যয়ন বন্ধ করেছে। এটি রাশিয়াকে সরাসরি জার্মানির সঙ্গে যুক্ত করেছে। নর্ড স্ট্রিম ২ প্রকল্পটি সেপ্টেম্বরে শেষ হয়েছিল। তবে, এখনো জার্মান নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে চূড়ান্ত সবুজ সংকেত পায়নি।

জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়ে পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, আমরা সবাই শান্তি এবং স্থিতিশীল উন্নয়ন বাদ দিয়ে সংকীর্ণ যুদ্ধের পথে হাঁটছি। স্বীকৃতির বিষয়ে পুতিনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে পোল্যান্ড।